
বিয়ে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাই পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করা উচিত পুরোপুরি বিবেচনার সাথে। শুধুমাত্র সৌন্দর্য বা অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নয়, দেখতে হবে মানসিকতা, জীবনদর্শন, অভ্যাস ও পারিবারিক পরিবেশও। নিচে দেখে নিন পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করার কিছু কার্যকর কৌশল:
✅ ১. পরিবার ও পারিবারিক পরিবেশ
পাত্র বা পাত্রীর পরিবার কেমন, তাদের মধ্যে বন্ধন কেমন, পারিবারিক পরিবেশে সৌহার্দ্য আছে কি না—এসব দেখে নেওয়া জরুরি। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য পারিবারিক সাপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅ ২. শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত অবস্থা
জীবনে একজন মানুষ কোথায় দাঁড়িয়ে, তার ভবিষ্যত লক্ষ্য কী—এসব জানা দরকার। শুধু উচ্চ ডিগ্রি নয়, তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মপ্রচেষ্টাও বিবেচনা করা উচিত।
✅ ৩. চারিত্রিক গুণাবলি ও রুচি
শান্ত মেজাজ, সহনশীলতা, সত্যবাদিতা, এবং দায়িত্ববোধ—এই গুণগুলো বিবাহিত জীবনে বড় ভূমিকা রাখে। তাই সঠিক পাত্র/পাত্রী বাছাইয়ের সময় এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিন।
✅ ৪. ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মিল
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক অনুশাসনে মিল থাকা মানেই ভবিষ্যতে কম দ্বন্দ্ব ও ঝামেলা। জীবনদর্শন মিল থাকলে বোঝাপড়া ভালো হয়।
✅ ৫. চাকরি বা আয় নিয়ে বাস্তব চিন্তা
পাত্র-পাত্রীর অর্থনৈতিক অবস্থান যাচাই করা উচিত বটে, তবে তা যেন অতিরিক্ত প্রত্যাশা না হয়ে দাঁড়ায়। অর্থের পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও মূল্যবান।
✅ ৬. স্বাস্থ্য ও মেডিকেল চেকআপ
অনেকেই এ বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা (মেডিকেল টেস্ট) করলে ভবিষ্যতের জটিলতা অনেকটাই এড়ানো যায়।
কী করা উচিত নয়
-
শুধু প্রোফাইল বা ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন না
-
আত্মীয় বা বন্ধুর কথার উপর পুরোপুরি ভরসা করবেন না
-
অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন
স্মার্ট যুগে মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়াও যেমন সহজ, তেমনি ভুল সিদ্ধান্ত নিলেই তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই ভাবুন, যাচাই করুন, তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন।
আঁখি