
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল করিম খান বলেছেন,শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের অভিযোগের বিষয়ের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মিলেছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই গ্যাসের সাপ্লাই স্বাভাবিকের চেষ্টা করছে সরকার।
শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ।
এ সময় তিনি বলেন, এলাকায় প্রচুর পরিমাণে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। শিগগিরই এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি যে সকল তিতাস কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সংকট চরম আকার ধারন করেছে। কয়েক মাস ধরে লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাসের চাপ সম্প্রতি আরও কমে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে শিল্পোৎপাদন।বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করা হয়েছে জাহাজ পৌঁছেছে কিন্তু এখনো গ্যাস ডগিন করা সম্ভব হয়নি।
গ্যাস ডগিন করা হলে খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। টাওয়েল টেক্স কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে গত এপ্রিলের ১৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত গ্যাস সংকট রয়েছে। গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল কোনাবাড়ী, মৌচাক সফিপুর ও চন্দ্রা এলাকার সুতা তৈরির কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পে গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পরেছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেলটিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম শাহাদাত হোসাইন সোহেল, কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার একাউন্ট এডমিট এন্ড কমপ্লায়েন্স মোঃ ওমর ফারুক, কারখানা ডিরেক্টর সাকিব হোসাইন, কারখানার দিরেক্টর জারিফ সাকিরসহ অন্যান্যরা।
আফরোজা