ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাশিয়ার আকাশ দখল নিচ্ছে ইউক্রেন? ড্রোনেই বিপর্যয়!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১ জুন ২০২৫

রাশিয়ার আকাশ দখল নিচ্ছে ইউক্রেন? ড্রোনেই বিপর্যয়!

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার একাধিক বিমানঘাঁটি লক্ষ্য, ৪০টিরও বেশি সামরিক বিমান আক্রান্ত যদি নিশ্চিত হয়, এটিই হবে যুদ্ধের সবচেয়ে বিধ্বংসী ড্রোন হামলা মস্কোর জন্য এক বড় বিপর্যয়।

রবিবার ইউক্রেন রাশিয়ার ওপর সর্ববৃহৎ ড্রোনভিত্তিক অভিযানের একটি চালায়, যার লক্ষ্য ছিল পূর্ব সাইবেরিয়ার একটি বিমানঘাঁটি যা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে। ইরকুতস্ক অঞ্চলের রাশিয়ান গভর্নর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জানিয়ে দেন যে, ইউক্রেনীয় দূর-নিয়ন্ত্রিত ড্রোন স্রিদনি গ্রামের একটি সামরিক ইউনিটে হামলা চালায়। এটিই সাইবেরিয়ায় প্রথম এ ধরনের হামলা।

রাশিয়া নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেনের বৃহৎ পরিসরের ড্রোন হামলার পর তাদের বেশ কয়েকটি সামরিক বিমান ‘আগুনে পুড়ে গেছে’।

ইউক্রেনীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (SBU)-এর বৃহৎ বিশেষ অভিযান “রাশিয়ান ফেডারেশনের অভ্যন্তরে” থাকা বিমানঘাঁটিতে ৪০টিরও বেশি সামরিক বিমানকে টার্গেট করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার পূর্ব সাইবেরিয়ার বেলায়া শহরের বিমানঘাঁটি, ফিনল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি আর্কটিক অঞ্চলের ওলেনিয়া, এবং মস্কোর পূর্বে ইভানোভো ও দ্যাগিলেভো বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট সূত্রের বরাতে জানা যায়, হামলায় Tu-95 ও Tu-22M3 বোমারু বিমান এবং অন্তত একটি A-50 নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়েছে।

এএফপি আরও জানায়, এই অভিযানটি মূলত ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে থাকা রাশিয়ার বোমারু বিমান ধ্বংসের লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়েছে। বিশেষ করে বেলায়া বিমানঘাঁটিতে আগুন ধরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়। আরটি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে ইরকুতস্ক অঞ্চলের একটি সামরিক ইউনিটে ড্রোন আক্রমণের দৃশ্য দেখা যায়।

পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছিল: এই অভিযান “পাভুতিনা” (মানে “মাকড়সার জাল”) নামে কোডযুক্ত বিশেষ অভিযানের অংশ, যা রাশিয়ার দীর্ঘপাল্লার হামলা সক্ষমতা ধ্বংসের লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়েছে, জানিয়েছে ইউক্রেনীয় প্রকাশনা প্রাভদা।

সূত্র জানায়, ইউক্রেন এক বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করে। ড্রোনগুলো মোবাইল কাঠের ঘরে লুকিয়ে রাখা হয় যা কার্গো ট্রাকের ওপর স্থাপন করা হয়। নির্ধারিত সময়ে ট্রাকগুলোর ছাদ দূর থেকে খুলে দেওয়া হয় এবং সেখান থেকেই ড্রোনগুলো বেরিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেনের কাছে বড় মিসাইলের ভাণ্ডার না থাকায়, তারা বৃহৎ ড্রোন বহর গড়ে তুলেছে, যা আগে থেকেই রুশ সামরিক ও তেল স্থাপনায় আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছে।

আলোচনার সম্ভাবনা: রাশিয়া সোমবার ইস্তানবুলে নতুন করে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব দেয়, যা কিয়েভ গ্রহণ করেছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সোমবার ইস্তানবুলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবে।

তিনি আরও বলেন, “আমি ইতোমধ্যে ইস্তানবুল বৈঠকের আগেই আমাদের অবস্থান নির্ধারণ করেছি, যার মধ্যে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত অস্ত্রবিরতি অর্জন এবং বন্দি ও অপহৃত শিশুদের প্রত্যাবর্তন।”

শহীদ

আরো পড়ুন  

×