প্যারাসেইলিংয়ের সময় সেফটি হারনেস খুলে মৃত্যু

১৯ বছর বয়সী তিজানা রাদোনজিকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া পড়েছে। গত সপ্তাহে মন্টেনেগ্রোর বুদভা শহরে প্যারাসেইলিংয়ের সময় নিরাপত্তা হরনেস খুলে ১৬০ ফুট উচ্চতা থেকে সাগরে পড়ে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে তিজানা আতঙ্কিতভাবে তার লাইফ জ্যাকেট ও সেফটি রেস্ট্রেইন খুলে ফেলছিলেন। ভিডিওতে তার মুখে "Put me down" বলে চিৎকার শোনা যায়, যা তার মানসিক অবস্থার সংকেত দেয়। পরবর্তীতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিজানা সের্বিয়ার নোভি সাদ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি তার খালা ও বন্ধুদের সঙ্গে ছুটিতে বুদভায় এসেছিলেন। স্থানীয় একটি প্যারাসেইলিং কোম্পানির প্রতিনিধি তাকে সৈকতে গিয়ে একটি ফ্রি রাইডের প্রস্তাব দেন, যা তিজানা গ্রহণ করেন। তবে, প্যারাসেইলিংয়ের আগে তার কোনো ভয় বা উদ্বেগের লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কোম্পানির মালিক মিরকো ক্র্জিক জানিয়েছেন, "তিনি উড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভয় দেখাননি, প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তারপরও এই ট্র্যাজেডি ঘটেছে।" তিনি আরও জানান, "সব সরঞ্জামের টেকনিক্যাল পরিদর্শন চলছে এবং ময়নাতদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।"

তিজানার পরিবার এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের ভাষায়, "আমরা কখনোই এই শোক মেনে নিতে পারব না, তুমি আমাদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। আমাদের সাহসী তিজানা, তোমাকে আমরা চিরকাল ভালোবাসব।"

ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, "এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন পেশাদারকে সঙ্গে রাখা উচিত, যেমন স্কাইডাইভিংয়ে করা হয়।" অন্য একজন বলেছেন, "আমি কখনো দেখিনি কেউ আতঙ্কিত হয়ে সেফটি হারনেস খুলে ফেলে। সাধারণত তারা আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরে।"

মন্টেনেগ্রো কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।