
ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর — আল-আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৩ বছরের শাসনের পতনের মাত্র দুদিন পর থেকেই সিরিয়ায় আকাশপথে হামলার অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গত ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এই ধারাবাহিক বিমান ও ড্রোন হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামোর একটি বড় অংশ।
এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার ওপর ২০০-রও বেশি বিমান হামলা, ড্রোন হামলা এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। গড়ে প্রতিদিন অন্তত একবার হামলা হয়েছে প্রতি তিন থেকে চার দিনে একবার করে, জানিয়েছে সশস্ত্র সংঘর্ষ সম্পর্কিত ডেটা বিশ্লেষণকারী সংস্থা Armed Conflict Location and Event Data project (ACLED)।
এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা, যার মধ্যে রয়েছে বড় বড় বিমানবন্দর, বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি, যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য কৌশলগত অবকাঠামো। এতে করে সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আল-আসাদ পরিবারের পতনের পর সৃষ্ট শূন্যতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়েই এই আগ্রাসী কৌশল নিয়েছে তেলআবিব। ইসরায়েলের এই অভিযানকে অনেকেই সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার ওপর জবরদস্তি চাপিয়ে দেওয়া সামরিক আধিপত্যের অংশ হিসেবে দেখছেন।
ফরিদ