
ছবি: জনকণ্ঠ
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র প্রভাবে কুড়িগ্রাম ও এর আশপাশের এলাকায় রাতভর অবিরাম গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রাত থেকেই লোডশেডিং থাকায় পুরো জেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা কাজে বের হতে পারেনি। শহরের মানুষের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলায় রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী তিনদিন এসব নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে বিপদসীমার নিচে থাকবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নৌঘাটগুলোতেও মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঘাটগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
টানা দুদিনের বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির হাটে মানুষের ভিড় কমে গেছে। গরু ও ছাগলের আমদানি অনেক কমে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরুর পাইকাররা বিপাকে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষরা কাজে যেতে না পেরে পরিবার নিয়ে অভুক্ত দিন কাটাচ্ছেন। ধান ও ভুট্টা মাড়াইয়ের ভরা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা কাজ করতে পারছেন না। খড় শুকাতে না পেরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মাঠে পানি জমে থাকার কারণে তারা বিচরণ করতে পারছে না। শহরের ঘোষপাড়া এলাকার ভ্যানচালক মেসের আলী জানান, “দুই দিন ভ্যান চালাতে পারিনি। ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে। কষ্টে চলছে সংসার।”
শহীদ