
ছবি: জনকণ্ঠ
ঘূর্ণিঝড় 'শক্তির' প্রভাবে প্রবল ঝড় ও স্বাভাবিকের চাইতে অতিমাত্রায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে ফলে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলের খানখানাবাদ, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বাহারছড়া, সরল, গন্ডামারা, ছনুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পড়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া টানা বর্ষণের ফলে পুইছডি, চাম্বল, শীলকূপ, জলদি, বৈলছডি, কালিপুর ইউপির অধিকাংশ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এতে একদিকে জনবসতি অপরদিকে ফসলি জমি ও ক্ষেত খামার ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ঘুর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ি জনপদ ঘুরে দেখা যায়, বাঁশখালীর পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর পূর্ব দিকে পাহাড়ি জনপদে ঘেরা এই উপজেলা। ঘুর্ণিঝড় 'শক্তির' প্রভাবে ও টানা বর্ষণের ফলে উভয় এলাকার নিমন্ত্রণ প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। ওই অঞ্চলের মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনের কর্মকাণ্ড অনেকাংশে থমকে গেছে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম সিকদার বলেন, বর্তমানে বেড়িবাঁধ উপচে আমার ইউনিয়নের খানখানাবাদ, কদমরসুল ও সন্দীপিপাড়াসহ নানা স্থান প্লাবিত হয়েছে। জনগণ আতঙ্কে আছে, বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দিন কামাল বলেন, অতিবৃষ্টি এবং সাগরের জোয়ারের প্রভাবে ইউনিয়নের রাতা গ্রামের কৈবর্ত্ত্য পাড়ার প্রায় ৫০টি পরিবারে পানি প্রবেশসহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এছাড়াও বাঁশখালীর প্রধান সড়কের কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরীতে গাছ উপড়ে পড়ে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। প্রচন্ড বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ায় কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৩টি গাছ ঝড়ের আঘাতে গোড়া থেকে উপড়ে রাস্তার উপর পড়ে। ফলে বাঁশখালীর প্রধান সড়কের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কোকদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ করা হলে যান চলাচল আবারো স্বাভাবিক হয়।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জমশেদুল আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় 'শক্তির' প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে সমুদ্রের পানি বেড়িবাঁধ উপড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে টানা বর্ষণে পাহাড়ি এলাকা ও লোকালয়ের নির্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
আবির