
ছবি: জনকণ্ঠ
গ্রামবাংলার পরিচিত খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরার অপরূপ দৃশ্যটি একসময় খুব চেনা ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেটি এখন প্রায় হারিয়ে গেছে। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না।
একটি খড়া জাল তৈরি করতে ১৬ থেকে ১৮টি বাঁশ নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা হতো। বর্ষা মৌসুমে কসবা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খাল-বিল পানিতে ভরে উঠত। তখন মাছ শিকারিরা খড়া জাল ব্যবহার করে পুটি, কই, টেংরা সহ নানা দেশি মাছ ধরতেন।
খড়া জালের মালিক মো. মাখন মিয়া বলেন, “বর্ষা মৌসুমে এই জাল দিয়ে বড় বড় মাছ ধরা যেত খুব সহজেই। এখন খাল ও পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় সেখানে পানি আসে না, তাই আমরা অন্য উপায়ে মাছ ধরতে বাধ্য হচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “আগে বর্ষায় গ্রামের রাস্তায় চলাফেরার সময় খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়তো। দেখে মন ভালো হয়ে যেত। এখন খাল-বিল ও পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করার কারণে দেশীয় মাছ ও খড়া জাল উভয়ই বিলুপ্তির পথে।”
স্থানীয়রা জানান, খাল ভরাট করে বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক জেলে বাধ্য হয়ে অবৈধ জাল ব্যবহার করছেন, যা দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কসবা উপজেলা প্রশাসনের কাছে খাল দখলমুক্ত করে পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন, যেন খাল-বিল ফিরে আসে এবং হারিয়ে যাওয়া দেশীয় মৎস্যসম্পদ রক্ষা পায়।
মুমু