
ছবিঃ জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীতে সৌখিন মাছ শিকারির বঁড়শিতে বিশালাকৃতির চিতল মাছ ধরা পড়েছে। সৌখির ওই মাছ শিকারির নাম তোফাজ্জল হোসেন পোদ্দার (৬০)। তিনি উপজেলার শাহ বাজার এলাকার বাসিন্দা।
রোববার দুপুরে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিরাম সাহেব বাজার এলাকায় ধরলা নদীতে এ বিরাট মাছটি বঁড়শি দিয়ে শিকার করেন তোফাজ্জল পোদ্দার। বঁড়শিতে বিরাট মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে নদী পাড়ে ভীড় করেন শতশত উৎসুক জনতা।
মৎস্য শিকারী তোফাজ্জল পোদ্দার জানান, ছোটবেলা থেকে বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরা তার সখ। সুযোগ পেলেই বঁড়শি নিয়ে মাছ ধরতে নদীতীরে গিয়ে বসেন। রোববার সকালে যান সাহেব বাজার এলাকায় ধরলা নদীতে। ওই এলাকা থেকেই তিনি গত বৃহস্পতিবার ৭ কেজি ওজনের একটি চিতল শিকার করেন। সেই আশায় আজকেও তিনি নদীতে বঁড়শি ফেলেন। আজও আশাভঙ্গ হয়নি তার। বঁড়শি ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যে মাছ টোপ গিলে সুতায় টান দেয়। অপরদিকে ছিপ ধরে টান দেন শিকারী তোফাজ্জল। আশা পূরণ করে আজও বড়শিতে আটকে যায় ১০ কেজির বিরাট এক চিতল মাছ।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাইয়েদুল হক, নজরুল ইসলাম আশিকুর রহমান বলেন, 'বড়শিতে মাছটি আটকানোর পর নদীর পাড়ে এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশাল মাছটি বঁড়শিতে আটকা পড়ে যখন পানিতে ঝাপ্টা মারে তখন তীরে থাকা লোকজন হৈ-হুল্লোড় করে। এই বুঝি বঁড়শি থেকে মাছটি খুলে গেল। কিন্তু শিকারির কৌশলের কাছে হেরে যায় মাছটি। ধরা পড়ে শিকারির হাতে। বর্তমান সময়ে মাছ ধরার এমন দৃশ্য দেখাও ভাগ্যের ব্যাপার।'
মাছটি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহ বাজার আসলে এলাকাবাসী মাছ আটকে দেন। সেখানে মাছটি দেখতে শত-শত মানুষ ভিড় করেন।
স্থানীয় আলী হোসেন ও জালাল উদ্দীন জানান, লোকজনকে দেখার জন্য মাছটি দিলেও মাছটি বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের জোরাজুরিতে পরে মাছটি এগারো হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এ প্রসঙ্গে বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ মিয়া বলেন,'তোফাজ্জল শখের বসে বঁড়শি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়ে দু'দিন আগে বড় একটা চিতল মাছ শিকার করেছে। আজকে যে মাছটি ধরেছে সেটা আগেরটার চেয়েও বড়।মাছটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে শতশত মানুষ ভিড় জমিয়েছে।'
সাব্বির