
ছবিঃ সংগৃহীত
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের প্রাক্কালে, গত ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে ঘটে চাঞ্চল্যকর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ওই দিন কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৯ জঙ্গিসহ মোট ৮২৬ জন কয়েদি। একইসঙ্গে লুট হয় ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭,০০০-এর বেশি গোলাবারুদ।
দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ৬৪৬ জন কয়েদি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ৬ জঙ্গিসহ মোট ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৪৫ জন কয়েদি। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। তারা অবিলম্বে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন ও পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে।"
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দ্রুততম সময়ে এই পলাতকদের আইনের আওতায় আনা উচিত।"
জেলা কারাগারের জেল সুপার জানান, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিত্যক্ত ভবন আপাতত সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত এখনও চলমান।
তিনি বলেন, "মামলার তদন্ত শেষ হলে বোঝা যাবে কারা জড়িত ছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে।"
পুলিশ সুপার জানান, পলাতক কয়েদিদের ধরতে এবং লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, "লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ইতোমধ্যে আমরা ৫৭টি উদ্ধার করেছি। আশা করি, বাকি অস্ত্র ও গোলাবারুদও দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।"
বাইরে থাকা কয়েদিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র-গুলি উদ্ধার নিয়ে নরসিংদীর সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাদের প্রত্যাশা, প্রশাসন কঠোর হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে, যাতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ইমরান