ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাত্র ২৯ বছর বয়সে বিশ্ব কাঁপানো আবিষ্কার, জানুন কে এই উমাইমা!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১ জুন ২০২৫

মাত্র ২৯ বছর বয়সে বিশ্ব কাঁপানো আবিষ্কার, জানুন কে এই উমাইমা!

ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ বিন জায়েদ ইউনিভার্সিটি অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (MBZUAI)-এর গবেষক উমাইমা রহমান, যিনি সম্প্রতি কম্পিউটার ভিশনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন।২৯ বছর বয়সী উমাইমা রহমান ভারতের নাগরিক। তাঁর গবেষণার মূল বিষয় যেকোনো হাসপাতালে, যেকোনো যন্ত্রে, যেকোনো রোগীর ক্ষেত্রে যেন একটি AI সিস্টেম সমানভাবে কাজ করতে পারে।

কারণ, বর্তমানে অনেক সময় একটি AI মডেল এক হাসপাতালে ভালো কাজ করলেও, অন্য হাসপাতালে তা ব্যর্থ হয়। এর ফলে ভুল রোগ নির্ণয়ের ঝুঁকি বাড়ে।

তিনি বলেন, “ধরুন, একটি AI মডেল ক্যানসার সনাক্ত করতে অসাধারণ পারদর্শী। কিন্তু অন্য হাসপাতালে সেটি হঠাৎ করে ব্যর্থ হয়ে গেল। এর কারণ হতে পারে শুধু সামান্য ইমেজিং পদ্ধতির পরিবর্তন।”

এই সমস্যা সমাধানে উমাইমা গত চার বছর ধরে এমন AI মডেল তৈরি করেছেন, যা বিভিন্ন ধরণের হাসপাতাল, স্ক্যানার ও রোগীর ক্ষেত্রে ‘সাধারণীকরণ’ করে কাজ করতে পারে। এই মডেলগুলো রোগ শনাক্তে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোযোগ দেয় এবং যন্ত্রগত পার্থক্য উপেক্ষা করে।

তিনি বলেন, “চিকিৎসা-চিত্র বিশ্লেষণে ভুলের মানে হতে পারে জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। এই সমস্যাটা কেবল গবেষণার বিষয় নয়—এটা রোগীর নিরাপত্তা ও ন্যায়সঙ্গত চিকিৎসা সেবার বিষয়।”

উমাইমার গবেষণায় আরও একটি নতুন পদ্ধতির সংযোজন রয়েছে, যেটি হলো ‘ক্রস-ডিজিজ ট্রান্সফারেবিলিটি’। অর্থাৎ, একটি রোগ শনাক্তে প্রশিক্ষিত AI মডেল একই অঙ্গে অন্য রোগও সনাক্ত করতে পারে। COVID-19-এর মতো সংকটে এটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

এই গবেষণা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উপস্থাপন করেছেন তিনি, যার মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। সেখানে তিনি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও AI গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

বর্তমানে উমাইমা স্ট্যানফোর্ড ও এমআইটি-র মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পোস্টডক্টরাল গবেষণার সুযোগ খুঁজছেন। ভবিষ্যতে তিনি আবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরে এসে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি বলেন, “AI ডাক্তারদের বদলাতে আসেনি, বরং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা ও চিকিৎসার মান উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।”

নারীদের AI গবেষণায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে চান উমাইমা। তাঁর লক্ষ্য একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়া।

শহীদ

×