
কোরবানি ঈদে ঘরে ঘরে নানা কায়দায় মাংস রান্নার ধুম পড়ে যায়। আর তার জন্য কত রকম মসলা যে সবাই ব্যবহার করে! তাই প্রয়োজন হয় বাহারি মসলার। শেষ সময়ে মসলার দোকানগুলোয় লোকজনের সমাগম বেড়ে যায়। কেমন দাম এসব মসলার? বাজার ঘুরে জানাচ্ছেন যাপিত জীবন প্রতিবেদক- শিউলী আহমেদ
মসলায় বাড়ে মাংসের স্বাদ। আদিম যুগে মানুষ মাছ-মাংস আগুনে পুড়িয়ে খেত। ধীরে ধীরে নিজেরাই মসলার আবিষ্কার করে। ভোজন রসিক বাঙালিও সেই স্বাদ আয়ত্ত করেছে। জেনে নিন এসব মসলার দাম- এলাচ (সবুজ)- ১০০ গ্রাম ৫২০ টাকা, কালো এলাচ- ১০০ গ্রাম ৩৮০ টাকা, দারুচিনি- ১০০ গ্রাম ৬০ টাকা, লং- ১০০ গ্রাম ১৯০ টাকা, তেজপাতা- ১০০ গ্রাম ৩৫ টাকা, জয়ফল- ১টি ১০ টাকা, জয়ত্রি- ১০০ গ্রাম ৪০০ টাকা, জিরা- ২৫০ গ্রাম ১৭৫ টাকা, শাহি জিরা- ১০০ গ্রাম ১৮০ টাকা, কালো গোল মরিচ- ১০০ গ্রাম ১৪০ টাকা, সাদা গোল মরিচ- ১০০ গ্রাম ১৮৫ টাকা, স্টার মসলা- ১০০ গ্রাম ১৭০ টাকা, জাফরান- ১ গ্রাম ৩০০ টাকা, কাঠ বাদাম- ২৫০ গ্রাম ৩৪০ টাকা, কাজু বাদাম- ২৫০ গ্রাম ৪৬০ টাকা, পেস্তা বাদাম- ১০০ গ্রাম ৩০০ টাকা, কাবাব মসলা- ১০ গ্রাম ৪৫ টাকা, শুকনো মরিচ (আস্ত)- ১ কেজি ৪২০ টাকা, হলুদ গুঁড়া (প্যাকেট)- ৫০০ গ্রাম ৩১০ টাকা, মরিচ গুঁড়া (প্যাকেট)- ৫০০ গ্রাম ৩১০ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া (প্যাকেট)- ৫০০ গ্রাম ২২০ টাকা, সয়াবিন তেল- ১ কেজি ১৮৮ টাকা, সরিষার তেল- ৩৫০ টাকা, আদা- ১ কেজি ১৫০ টাকা, রসুন- ১ কেজি ২৩০ টাকা, পেঁয়াজ- ১ কেজি ৬০ টাকা। তবে ঈদে সময় ও জায়গা ভেদে এই দামের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।
ঢাকায় মসলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার চকবাজার আর মৌলভী বাজার। মসলার পরিমাণ বেশি লাগলে আর যাতায়াত সুবিধা থাকলে যেতে পারেন ওখানেও। অথবা কারওয়ান বাজার, মালিবাগ এবং এলাকার বিভিন্ন সুপার শপেও পাওয়া যাবে সব রকমের গুঁড়া আর আস্ত মসলা। বিশেষ উপলক্ষ আসলেই এসব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ক্রেতারা সাধ্যের বাইরে গিয়ে কিনতে বাধ্য হন। পাইকারি দোকান ‘কোয়ালিটি’র মালিক ফারুক বলেন, ‘অন্যান্য দ্রব্যের সঙ্গে মসলার বাজারও এখন চড়া। পাইকারি দোকানে কিছুটা সাশ্রয়ে কিনতে পারে বলে এখানে ক্রেতা অনেক বেশি।’
প্যানেল