
ছবি : প্রতীকী
ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলভিত জেলার বারখেড়া এলাকার এক স্থানীয় সাংবাদিক ও তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে আত্মহয়রানির অভিযোগ তোলেন এবং ভিডিও চলাকালীনই তারা বিষপান করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সাংবাদিক ইসরার ওই ভিডিওতে বলেন, বারখেড়া নগর পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে তিনি ও তার পরিবার চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তার দাবি, ওই প্রতিবেদন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের নজরে আসার পর থেকেই এসডিএম নাগেন্দ্র পাণ্ডে, চেয়ারম্যান শ্যাম বিহারী ভোজওয়াল এবং ঠিকাদার মইন হুসেন তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে ও প্রাণনাশের হুমকি দিতে শুরু করেন।
ভিডিওতে ইসরার বলেন, "আমরা বিষপান করছি ও আমাদের জীবন শেষ করছি। যোগীজি, আমাদের ন্যায়বিচার দিন।"
বিষপান করার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের মানুষ তাদের উদ্ধার করে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, ইসরারের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তার স্ত্রী এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর এসডিএম নাগেন্দ্র পাণ্ডে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি ইতোমধ্যে বারখেড়া থানাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
চেয়ারম্যান ভোজওয়ালও নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, “আমি ঘটনার কথা শুনেছি। কিন্তু এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। হতে পারে, ঠিকাদারের সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ ছিল।”
ঠিকাদার মইন হুসেন পাল্টা অভিযোগে বলেন, গত ১৮ মে ইসরার তার একটি নির্মাণসাইটে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং তা না দিলে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেন। তিনি আরও বলেন, ইসরার তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে প্রাণনাশের হুমকি দেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে, ইসরারের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক দম্পতি হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তারা প্রশাসনের মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
সানজানা