ছবি:সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, হাসনাত আবদুল্লাহ, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক টাইমলাইনে এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপি’র আসন ভাগাভাগি বা গোপন সমঝোতার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি একটি দলের প্রধান এক অনলাইন টকশোতে মন্তব্য করেছেন যে, ‘এনসিপি কিন্তু পর্দার অন্তরালে বিএনপির সাথে সিট নেগোসিয়েশন করেছে।’ এই বক্তব্য বাস্তবতাবিবর্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তিনি বলেন, “আমরা উল্লেখিত রাজনীতিবিদের প্রতি আমাদের সম্মান ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, এনসিপি কোনো দলের সাথেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেনি। আমরা সারাদেশে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু মহল এনসিপিকে নিয়ে ভিত্তিহীন ইম্প্রেশন তৈরি করার চেষ্টা করছে যে, দল গোছানোর অজুহাতে এনসিপি নাকি নির্বাচন পেছাতে চায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এনসিপি আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বিচার, প্রশাসনিক সংস্কার ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। আমাদের অবস্থান বরাবরই পরিষ্কার, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারে।”
এনসিপির মতে, শুধু নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন নয়, বরং তার আগে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হলে নির্বাচন একচেটিয়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণে, বিচারিক স্বাধীনতা, প্রশাসনিক সংস্কার ও রাজনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এনসিপি মনে করে, এই বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন* সময়ের মধ্যে *জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে একটি গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। এজন্য বর্তমান *অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত জারি করা উচিত।”
বিবৃতির শেষাংশে এনসিপি আহ্বান জানায়, যেন নির্বাচন কেবল ক্ষমতা দখলের মাধ্যম না হয়। বরং মৌলিক সংস্কার ও অর্থবহ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। এ লক্ষ্যে তারা সকল পক্ষকে বিচার, সংস্কার ও রোডম্যাপ প্রশ্নে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানায়।
আঁখি
