সরিষাবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী কলেজটি জাতীয়করণের সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেবল শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধু নামের কারণে একটি ছোট প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয়করণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছে সরিষাবাড়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কলেজটির হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নিং বডির সদস্য প্রভাষক খায়রুল আলম শ্যামল আরো বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কেবল বঙ্গবন্ধু নামটি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সরিষাবাড়ী কলেজের ন্যায্য অধিকার হরণ করা হয়েছে।”
প্রায় ১১ একর জমির ওপর ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সরিষাবাড়ী কলেজে বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে পড়ছে প্রায় ৪,৫০০ শিক্ষার্থী। স্থায়ী অবকাঠামোসহ জাতীয়করণের সব শর্তই পূরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বিবেচনায় না গিয়ে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে অর্পিত সম্পত্তির ওপর গড়ে ওঠা ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত বঙ্গবন্ধু কলেজকেই জাতীয়করণ করেছে বিগত সরকার। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে সেই কলেজের নাম পরিবর্তন করে "সরিষাবাড়ী সরকারি কলেজ" রাখা হয়েছে,যা সরিষাবাড়ী কলেজের দীর্ঘদিনের পরিচিতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে এসেছে।
লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক শ্যামল জানান, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ৩২টি কলেজের তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয়করণের সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করা হয়। সেখানে সরিষাবাড়ী কলেজের ক্রমিক নম্বর ছিল ২২। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২২টি কলেজ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরিষাবাড়ী কলেজ পরিদর্শনও সম্পন্ন করে।
অভিযোগ উঠেছে, সে সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে বঙ্গবন্ধু কলেজকেও একই সঙ্গে পরিদর্শন করা হয় এবং নানা অনিয়মের মাধ্যমে সেটিকেই জাতীয়করণ করা হয়।
সরিষাবাড়ী কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, শুধু নামের কারণে এমন বৈষম্য দুঃখজনক। তারা অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি সরিষাবাড়ী কলেজকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন।
আফরোজা
