ছবি: সংগৃহীত
মস্তিষ্ক আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, কারণ এটি আমাদের সকল কর্মকাণ্ড ও প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দু। তবে সঠিকভাবে কাজ করতে গেলে মস্তিষ্কের প্রয়োজন নির্দিষ্ট পুষ্টি। সুষম খাদ্য ও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে ৫টি খাবার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো:
১. তেলযুক্ত মাছ
মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজের জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অপরিহার্য। স্যামন, টুনা, হারিংয়ের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ। এটি মস্তিষ্ক কোষের গঠনে সহায়তা করে এবং মানসিক দক্ষতা বাড়ায়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ গ্রহণ চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট কেবল স্বাদের জন্যই নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। এতে থাকে কাকাও, যা ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এই ফ্ল্যাভোনয়েড রক্তনালীর বৃদ্ধিতে সহায়ক, বিশেষত স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণকারী মস্তিষ্ক অংশে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ চাপ থেকে রক্ষা করে।
৩. বেরি ফল
রাসবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির মতো বেরিগুলো ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলোতে আছে অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যাটেচিন এবং কুয়েরসেটিন। এই উপাদানগুলো শরীরের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কার্যকর, যা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৪. কফি
কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। ক্যাফেইন মস্তিষ্কে অ্যাডেনোসিন নামক রাসায়নিককে বাধা দেয়, যা নিদ্রালু ভাব সৃষ্টি করে। এজন্য ঘুমঘুম লাগলে বা ক্লান্তিবোধে কফি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৫. ব্রোকলি
ব্রোকলি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক এক সবজি। এতে থাকে গ্লুকোসিনোলেট, যা ভেঙে গিয়ে তৈরি করে আইসোথায়োসায়ানেট—একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি মস্তিষ্ককোষ রক্ষা করে এবং আলঝেইমারসহ নানা স্নায়ু রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই স্মার্ট স্ন্যাকস হিসেবে বা মূল খাবারের অংশ হিসেবে ব্রোকলি রাখলে বাড়ে স্মার্টনেসও।
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই উপকারী খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার মস্তিষ্ক আরও সচল, সক্রিয় এবং স্মৃতিশক্তিতে সমৃদ্ধ থাকবে।
আবির
