ছবিঃ সংগৃহীত
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হাঁচি, কাশি ও সর্দির মতো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, প্রায় সকলেই এই সমস্যায় ভুগছেন। ওষুধে অস্থায়ী উপশম মিললেও ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে এ ধরনের অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী।
তিনি জানান, যেকোনো ধুলাবালি, ফুলের পরাগ বা খাবার হতে পারে অ্যালার্জির কারণ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সহজলভ্য উপাদান নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অ্যালার্জির প্রভাব কমে যায়।
কার্যকর ঘরোয়া উপায়গুলো হলো:
🔸 মধু: প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধু নিয়মিত খেলে ইনফ্লেমেশন কমে এবং সর্দি-কাশিতে আরাম পাওয়া যায়।
🔸 তুলসি ও আদা: গরম পানিতে তুলসি পাতা ও আদা ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে কাশি ও গলার খুসখুসে সমস্যা কমে। চাইলে সামান্য মধুও মেশানো যায়।
🔸 দারুচিনি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ দারুচিনি শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তবে দিনে ২-৩ বার এর বেশি গ্রহণ না করাই ভালো।
🔸 ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: আমলা, পেয়ারা, কমলা, কিউই বা মুসাম্বি ইত্যাদি ফলে প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান থাকায় অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর।
🔸 ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছ, আখরোট, বাদাম, চিয়া সিড ও ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি খাবার শরীরকে অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে।
🔸 প্রোবায়োটিক: টক দই বা দই জাতীয় খাবার শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🔸 হলুদ: দুধ বা গরম পানিতে হলুদ মিশিয়ে পান করলে এর কার্কিউমিন উপাদান ইনফ্লেমেশন কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
🔸 সবুজ শাকসবজি ও পর্যাপ্ত পানি: ব্রোকলি, গাজর, বাধাকপি, টমেটোসহ শাকসবজি এবং প্রচুর পানি পানের অভ্যাস শরীরকে রাখে সতেজ ও রোগমুক্ত।
বিশেষ সতর্কতা:
গর্ভাবস্থায় অ্যালার্জির ওষুধ প্রয়োগে সাবধানতা জরুরি। ওষুধ না নিয়ে প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে উপশমের চেষ্টা করা উচিত। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পরামর্শ:
কোন খাবার খেলে শরীরে সমস্যা হয় তা নিজে বুঝে নিয়ে সেই খাবার এড়িয়ে চলা এবং ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলেই অ্যালার্জিজনিত সমস্যা অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ইমরান
