ছবি: সংগৃহীত।
গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল আম। রসাল, সুগন্ধি ও পুষ্টিকর এই ফলটি খাওয়ার পাশাপাশি অনেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করেও খেতে চান। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে আম দ্রুত পচে যেতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে আম দীর্ঘদিন ভালো রাখার পাঁচটি সহজ উপায় তুলে ধরা হলো:
১. ঘরোয়া তাপমাত্রায় পাকা আম সংরক্ষণ:
পাকা আম ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও গন্ধ কমে যায়। বরং ঠাণ্ডা ও বাতাস চলাচলকারী ঘরে খোলাভাবেই রাখলে তা ৭-৮ দিন ভালো থাকে। খেয়াল রাখতে হবে, আম যেন সূর্যের আলোয় না পড়ে এবং একটির গায়ে আরেকটি বেশি চাপ না পড়ে।
২. কাঁচা আম প্যাকেট করে ফ্রিজে সংরক্ষণ:
কাঁচা আম পরিষ্কার করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা যায়। এভাবে সংরক্ষণ করলে কাঁচা আম ১৫-২০ দিন ভালো থাকে। চাইলে পাতলা কাপড়ে মুড়ে রেখেও রাখা যায়, এতে ছাঁচ পড়ার আশঙ্কা কমে।
৩. ফ্রিজে কিউব করে রাখা আমের রস:
পাকা আমের রস বের করে বরফের ট্রেতে কিউব করে ফ্রিজে জমিয়ে রাখা যায়। পরে শরবত, ডেজার্ট কিংবা কেক তৈরিতে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে করে স্বাদ বজায় থাকে এবং নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
৪. আমের আচার বা চাটনি তৈরি করে সংরক্ষণ:
ঘরোয়া উপায়ে আম দিয়ে আচার, চাটনি, জেলি বা আমসত্ত্ব তৈরি করে বছরের পর বছরও সংরক্ষণ করা যায়। এতে সংরক্ষণ যেমন সহজ হয়, তেমনি সারা বছর আমের স্বাদ উপভোগ করা সম্ভব।
৫. অ্যান্টিফাঙ্গাল বা ছাঁচ প্রতিরোধী পদ্ধতি:
আম পচে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ছাঁচ। তাই পাকা আম সামান্য গরম পানিতে কয়েক সেকেন্ড ডুবিয়ে তুলে শুকিয়ে নিলে ছাঁচ পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। চাইলে খাবার নিরাপদ রাখতে ব্যবহৃত ফুডগ্রেড অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডারও ব্যবহার করা যায়।
বিশেষজ্ঞের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করলে আম ১৫-২০ দিন পর্যন্ত ভালো রাখা সম্ভব। তবে সবার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা জরুরি।”
আম শুধু একটি মৌসুমি ফল নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই সুস্বাদু ফলটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা এর পুষ্টিগুণ ও স্বাদ উপভোগ করতে পারি বছরের অন্যান্য সময়েও।
মিরাজ খান
