
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাত গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম ছিল একটি বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো ভেঙে পড়ায় এখন মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন ফতেহপুরসহ আশপাশের সাত গ্রামের হাজারো মানুষ।
দীর্ঘ প্রায় ১০০ মিটার বাঁশের তৈরি এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। নানা ঝুঁকি নিয়েও এই সাঁকো পার হওয়া ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ। কিন্তু সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় এখন যেন গোটা জনজীবন স্থবির।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের এই সাঁকোটি হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। ফলে ওই এলাকার মানুষের নবীনগর সদরে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রোগী, গর্ভবতী নারী বা জরুরি চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরাও নিরাপদে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা প্রতিবছরই নিজেদের অর্থায়নে এই সাঁকোটি নির্মাণ ও মেরামত করে থাকেন। কিন্তু বাঁশের তৈরি হওয়ায় বর্ষা মৌসুম এলে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে বা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাকা সেতুর দাবি জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে সেখানে একটি পাকা ও টেকসই সেতু নির্মাণ করতে হবে। নাহলে প্রতিবার বর্ষায় তাদের এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে, আর জীবন-জীবিকা চলবে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে।
মিমিয়া