ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুনিয়া মাতানো ফ্যাশন ম্যাগাজিন

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৭ অক্টোবর ২০১৬

দুনিয়া মাতানো ফ্যাশন ম্যাগাজিন

তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা যে কোন তথ্য প্রাপ্তিকে করেছে সহজতর। অনেকের ধারণা এ কারণে আবেদন কমে আসছে প্রিন্ট মিডিয়ার। কিন্তু এ ধারণাটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে দাপটের সঙ্গে টিকে থাকা কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিন কেবল টিকেই নেই তারা এখনও নির্ধারণ করছে ফ্যাশন দুনিয়ার ভাগ্য। যাদের কভার পেজে ছবি হয়ে আসছে পারা জগদ্বিখ্যাত সেলিব্রেটিদের স্বপ্ন। তারা তারকা নির্মাণ করে, প্রভাবিত করে আগামীর ফ্যাশন, এ রকম পাঁচটি ফ্যাশন ম্যাগাজিন আমাদের এবারের বিষয়। লিখেছেন- আকিল জামান ইনু ভোগ ভোগ একটি আমেরিকান ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন ২৩ ভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংস্করণ নিয়ে প্রতি মাসে প্রকাশিত হয়, প্রকাশক কনডিন্যাস্ট।১৮৯২ এর ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে এটির প্রথম আত্মপ্রকাশ সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন হিসেবে, প্রতিষ্ঠাতা আর্থার টার্নার ম্যাগাজিনটি প্রথম দিকের গ্রাহক টার্গেট ছিল নিউইয়র্কের এলিট শ্রেণী। ভোগের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য একটি ইস্যু ‘বডি ইস্যু’ জিরো ফিগার অর্জনের জন্য না খেয়ে অপুষ্টিতে ভোগা নারী শরীরের ছবি ভোগ বর্জন করে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়। এছাড়াও ‘বোরকা’ বিউটি ইউথআউট বর্ডার বিভিন্ন ধারণা নিয়ে আলোচিত। ফরাসী শব্দ ভোগের ইংরেজী অর্থ স্টাইল, ডিসেম্বর ২০০৬-এ ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ ‘ভোগ’কে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিন হিসেবে আখ্যায়িত করে। ২০১২ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোগ ওবামার পক্ষে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করে। ভোগের বর্তমান পাঠন সংখ্যা ২২.৫ মিলিয়ন। এলি একটি ফরাসী ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিন। পিয়েয়ে ল্যাজারিক ও হেলেন গর্ডন প্রতিষ্ঠিত ম্যাগাজিনটির প্রথম প্রকাশ ১৯৪৫-এ। ফরাসী শব্দ এ্যালির ইংরেজী অর্থ ‘সি’ বা হার। ১৯৬০ এ বিরূপ সমালোচনার মুখে এ্যালি নতুন সেøাগানে আবির্ভূত হয় যা ছিল- ‘ওভ ংযব ৎবধফং, ংযব ৎবধফং বষষু’, ১৯৮১ পরবর্তী সময়ে এর আমেরিকান সংস্করণ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি আরও ২৫টি আন্তর্জাতিক সংস্করণসহ। চায়নাতে এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে এবং ব্যতিক্রম ঘটিয়ে প্রতিমাসে দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ২০০৭-এ এলির প্রথম ওয়েব সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এলি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফ্যাশন ম্যাগাজিন। গ্ল্যামার মহিলা বিষয়ক ম্যাগাজিন প্রকাশনা সংস্থা ‘কনডিনাস্ট প্রকাশনী’ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ১৯৩৯-এর এপ্রিলে এটি প্রথম প্রকাশিত হয় তখন থেকে একে বলা হতো গ্ল্যামার অব হলিউড। ১৯৪৩-এর আগস্টে এটি গ্ল্যামার নাম ধারণ করে সঙ্গে সাবটাইটেন যুক্ত হয় ‘ফর দ্য গার্ল ইউথ দ্য জব’। বর্তমানে প্রধান সম্পাদক সিনথিয়া লেভি এর পাঠক শ্রেণী ১৮-৪৯ বছর বয়সী মহিলাগণ, এটি প্রথম মহিলা ম্যাগাজিন যা কোন আফ্রিকান আমেরিকান মেয়েকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে ১৯৬৮। ১৯৮০ থেকে ম্যাগাজিনটি ‘ওমেন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার প্রচলন করে। বর্তমানে গ্ল্যামারের প্রচার সংখ্যা ২৩,৯৭৫০৮। মেরি ক্লেয়ারি মহিলাদের জন্য প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন বিভিন্ন ভাষায় এর অনেকগুলো সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৩৭ এ প্রথম প্রকাশ ফ্রান্সে। এর মার্কিন সংস্করণের মূল বিষয় নারী ও বিভিন্ন গ্লোবাল ইস্যু। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য ও ফ্যাশনকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠাতা জিন প্রোভাউস্ট ও মালসেলি একলেয়ার। প্রথম সংখ্যা থেকে এটি প্রতি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হতো। ১৯৭৬ এ প্রোভাউস্ট অবসরে যান ও তার কন্যা ইভেলিন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেরি ক্লেয়ারির মার্কিন সংস্করণ প্রকাশ করে ‘হার্টস করপোরেশন’ এর যুক্তরাজ্য সংস্করণ টাইম. ইনক এবং এর ওয়েব সংস্করণে প্রতিদিনের সংবাদ, ক্যাট ওয়াক শো, ছবি এবং রিপোর্ট। ফ্যাশন ও বিউটি, ক্রয়-বিক্রয়, ভাগ্য নিয়ে সংবাদের পাশাপাশি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। মেরি ক্লেয়ারির আরবী সংস্করণ প্রকাশিত হয় লেবানন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। রয়েছে জাপানী ভাষায় সংস্করণ। পাঁচটি মহাদেশের ৩৫টি দেশে ম্যাগাজিনটির সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
×