এফিডেভিট কিভাবে করে এবং কত টাকা লাগে?

এসএসসি, এইচএসসি কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন সরকারি কাগজপত্রে নাম, বয়স বা পিতা-মাতার নাম ভুল থাকলে সংশোধনের জন্য এফিডেভিট করানো একটি সাধারণ ও প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া। অনেকেই এই বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় হয়রানির শিকার হন। অথচ এই প্রক্রিয়াটি সহজ ও তুলনামূলকভাবে কম খরচেই সম্পন্ন করা যায়।

জানা গেছে, ভুল সংশোধনের জন্য করাতে হয় একটি নির্দিষ্ট ধরণের নোটারি এফিডেভিট, যা সাধারণত আদালতের নোটারি পাবলিক বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

যেসব বিষয় সংশোধন করা যায়: নিজের নামের ভুল সংশোধন, পিতা বা মাতার নামের ভুল সংশোধন, বয়স বা জন্মতারিখের গরমিল, বানান সংশোধন বা আংশিক পরিবর্তন।

এই কাজের জন্য সাধারণত ৩০০ টাকার মূল্যের স্ট্যাম্পে এফিডেভিট করতে হয়। যেহেতু সরাসরি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প পাওয়া যায় না, তাই সাধারণত তিনটি ১০০ টাকার স্ট্যাম্প একত্রে ব্যবহার করা হয়।

প্রসেসটি সাধারণত যেভাবে হয়: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নোটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে তার ভুল তথ্য ও সঠিক তথ্য উল্লেখ করে জানায়। প্রস্তুতকৃত নির্দিষ্ট ফরম্যাটে একটি ঘোষণা (অফিডেভিট) তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্ট স্ট্যাম্পে সেই ডকুমেন্ট টাইপ করে প্রিন্ট করা হয়।

আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর যুক্ত করে নোটারি পাবলিক কর্তৃক ডকুমেন্টটি সত্যায়ন ও সিলমোহর করা হয়।

খরচ:
স্ট্যাম্প মূল্য: প্রায় ৪০০ টাকা, প্রস্তুত/প্রিন্ট খরচ: ১০০-২০০ টাকা, নোটারি ফি: ৩০০-৪০০ টাকা। সর্বমোট আনুমানিক খরচ: ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। তবে এলাকার ভিন্নতা ও অফিসের চাহিদা অনুযায়ী এই খরচ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।

এটি একদিনের মধ্যেই সম্পন্নযোগ্য একটি কাজ। সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব। নোটারি পাবলিকদের কাছে এসব কাজের জন্য নির্ধারিত ফরম্যাট প্রস্তুত থাকে। ফলে আবেদনকারীকে কেবলমাত্র ভুল তথ্য, সঠিক তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হয়।

যে কোনো ধরনের সংশোধনের প্রয়োজন হলে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখা এবং নির্ভরযোগ্য নোটারি পাবলিকের সহায়তা নেওয়াই উত্তম। এফিডেভিট সম্পন্ন হলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড, নির্বাচন কমিশন বা সরকারি দপ্তরে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা যায়।

সূত্র: https://rb.gy/hku356