
ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইনের আওতায় বিয়ে সম্পাদনের সময় যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল তৈরি হয়, তা হলো কাবিননামা। এটি শুধু একটি কাগজ নয়, বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি বৈধ চুক্তি যা তাদের অধিকার ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করে। এই কাবিননামায় ‘মোহরানা’ বা দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়, যা স্ত্রী’র একটি আইনগত অধিকার।
দেনমোহরের পরিমাণ সাধারণত স্বামীর আর্থিক অবস্থা, স্ত্রীর পারিবারিক মর্যাদা, শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হয়। পরিবার ও সমাজের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও এতে প্রভাব ফেলে।
কাবিননামা নির্ধারণে বর ও কনের সম্মতি অপরিহার্য। কেউ চাইলে ‘তালাকের অধিকার’ সংরক্ষণের বিষয়টিও কাবিননামায় উল্লেখ করতে পারেন।
তবে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী, স্ত্রীকে উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে একটি সম্মানজনক মোহর নির্ধারণ করার নির্দেশ রয়েছে। এটি হতে পারে তাৎক্ষণিক (তৎকালীন মোহর) বা স্থগিত মোহর (পরবর্তীতে প্রদেয়)। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী, দেনমোহর চুক্তিভিত্তিক এবং এটি আদালতের মাধ্যমে আদায়যোগ্য। কাবিননামা একটি আইনগত দলিল হিসেবে গণ্য হয়, যা পরবর্তীতে বিবাহবিচ্ছেদ বা যৌতুক সংক্রান্ত মামলায় ব্যবহৃত হতে পারে।
ধারা ১০, মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী বাধ্য থাকবেন স্ত্রীকে নির্ধারিত দেনমোহর প্রদান করতে। যদি স্বামী দেনমোহর পরিশোধ না করেন, স্ত্রী আদালতে মামলা করে তা আদায় করতে পারেন।
কাবিননামা একটি ধর্মীয় ও আইনগত দলিল, যা স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে তৈরি হয়। এটি আর্থিক নিরাপত্তা, সম্মান এবং আইনি স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। তাই বিয়ের সময় কাবিননামা নির্ধারণে উভয় পক্ষের সচেতনতা ও আইন সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্রঃ https://www.facebook.com/reel/1232950158559420
আরশি