
বাংলাদেশের শিশু আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৫ অনুযায়ী, যদি কোনো একই অপরাধে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একসঙ্গে অভিযুক্ত হন, তবে তাদের তদন্ত, চার্জশিট ও বিচারিক প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে। এ আইন অনুযায়ী, ন্যায়বিচার ও শিশু-সুরক্ষার স্বার্থে এই ভিন্ন পথ নির্ধারিত হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, কোনো একটি অপরাধে যদি একাধিক অভিযুক্তের মধ্যে কেউ শিশু হন এবং কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হন, তবে তদন্তকারী সংস্থা (যেমন পুলিশ) দুই ধরনের পৃথক রিপোর্ট দাখিল করতে বাধ্য—একটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং অন্যটি শিশুর জন্য। এটি হতে পারে চার্জশিট বা ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট, মামলার ধরন অনুযায়ী।
আইনটি আরও বলছে, বিচারিক আদালতে মামলাটি পাঠানোর সময়ও এই বিভাজন বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, প্রাপ্তবয়স্ক আসামির মামলা পাঠানো হবে সাধারণ দায়রা আদালতে, আর শিশু আসামির মামলা যাবে শিশু আদালতে।
শিশু আদালত হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিয়মও আইনেই নির্ধারণ করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসমূহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় শিশু আদালতের কার্যভার গ্রহণ করে থাকে। তবে কোনো জেলায় যদি নির্দিষ্ট শিশু আদালত বা ট্রাইব্যুনাল না থাকে, সে ক্ষেত্রে জেলার দায়রা জজই শিশু আদালতের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ব্যবস্থার ফলে শিশুদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে তাদের মানসিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হয় এবং একই সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।
এসএফ