
ছবিঃ সংগৃহীত
২০২৪ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু আলোচিত দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালিত ১০টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে, যেগুলোর অনেকগুলো নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল।
বাতিলকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ, অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ, আশুগঞ্জ-আগরতলা সড়ক করিডর এবং ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। এসব প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের কৌশলগত স্বার্থ এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রশ্নে উদ্বেগ ছিল। সরকার জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌম স্বার্থ, কৌশলগত নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করেই প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের নতুন চুক্তি, সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন প্রকল্প এবং পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। বিশেষ করে বন্দর ব্যবহারে একচেটিয়া অধিকার কিংবা যৌক্তিকতা-বিবর্জিত অবকাঠামোগত বিনিয়োগে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির আশঙ্কা ছিল বলেই সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো আন্তর্জাতিক প্রকল্প গ্রহণের সময় স্বচ্ছতা, পারস্পরিক সম্মান এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থ সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হবে।
এদিকে এসব প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দুই দেশের পারস্পরিক লাভ নিশ্চিত করাই ভবিষ্যত কূটনীতির মূল লক্ষ্য থাকবে।
মারিয়া