
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজার শতভাগ এলাকা দখল নিয়ে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চান তিনি। এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাটি ইতোমধ্যে দেশের যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা মন্ত্রিসভার সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে গাজা যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা বেসামরিক জনগণকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, বেসামরিক মানুষের বাসস্থান অধিগ্রহণের আইনি প্রভাব বিবেচনায় রেখে ‘নিয়ন্ত্রণভার’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যা মানবাধিকার দৃষ্টিকোণ থেকে সংবেদনশীল বিষয়।
নেতানিয়াহুর প্রস্তাবে উল্লেখ রয়েছে গাজা সিটিকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলা এবং গাজা উপত্যকার দক্ষিণে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক রাতভর চলে এবং প্রায় ১০ ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনার পর শুক্রবার একক সম্মতিক্রমে এই পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, সামরিক বাহিনী গাজায় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে তীব্র হামলা চালাবে। পরবর্তীতে গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরগুলোতেও সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ করা হবে। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মানবিক ত্রাণ বিতরণ চারগুণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে ইসরায়েল।
মন্ত্রিসভার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় বিশ্বাস, এই পরিকল্পনাই হামাসকে পরাজিত করার একমাত্র পথ।’
সাম্প্রতিক গাজা সংকটের মধ্যে এই পরিকল্পনা গাজার ভবিষ্যত নিয়ে নতুন উত্তেজনা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র সংঘাতের সম্ভাব্য দীর্ঘায়ুতা ও মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
সূত্র: ডেইলি স্টার।
রাকিব