বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর সিনিয়র সদস্য মোস্তফা কাজল ও সাইদুর রহমান রিমনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব কার্যালয়ের (তৃতীয় তলা) মিলনায়তনে এ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মরহুম দুই সাংবাদিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, ফখরুল আলম কাঞ্চন, আবুল খায়ের, ইসারফ হোসেন ঈসা, সাবেক সহ-সভাপতি লিটন হায়দার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাবলু, দীপু সারোয়ার, আলাউদ্দিন আরিফ, মামুনুর রশিদ, সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য বেলায়েত হোসেন, আবুল আজাদ সোলায়মান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ রানা, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জামিউল আহসান সিপু প্রমুখ।
কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহম্মেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ জাকারিয়া।
উল্লেখ্য, ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য মোস্তফা কাজল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৯৬ সালে ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন মোস্তফা কাজল। পরবর্তীতে তিনি ‘মানবজমিন’, ‘ভোরের ডাক’-এ কাজ করেন। সর্বশেষ তিনি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।
অন্যদিকে, সিনিয়র সদস্য সাইদুর রহমান রিমন গত ৩০ জুলাই গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে গিয়ে দুপুর ১১টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়, কিন্তু সেখানে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাইদুর রহমান রিমন সর্বশেষ ‘দৈনিক বাংলাভূমি’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে দীর্ঘ সময় ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ ছিলেন। এছাড়াও তিনি ‘বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)’-এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে তিনি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’, ‘বাংলানিউজ’, ‘সংবাদ’, ‘মানবজমিন’, ‘মুক্তকণ্ঠ’, ‘বাংলাবাজার পত্রিকা’ ও ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তিনি ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। ‘ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং’সহ অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
সজিব
