
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেওয়াল খুঁড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত তিন আসামি। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে কারাগার থেকে পলায়নের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। গাজীপুর মেটোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টাকারী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শ্রী রনি মোহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু। তাদের সবার বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই কারাগারের তমাল ভবনের একই কক্ষে বন্দি ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮ টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধান কারারক্ষী মোখলেছুর রহমান। এসময় তিনি তমাল ভবনের নিচ তলায় ১২নং কক্ষ হতে দেওয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরদিন (৬ আগস্ট) সকালে ওই কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একটি লোহার পাত, দুই টুকরো রড, কম্বল ও পোশাক কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা একটি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপরকরণ জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান জানান, জেল হতে পালানোর জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ হিসেবে উদ্ধারকৃত মালামালগুলো তারা নিজেদের সংগ্রহে রেখেছিল। নিয়মিত তল্লাশিকালে তাদের কক্ষ থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল হতে পলায়ন করতো অথবা পলায়নের সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এ ঘটনার পর তাদেরকে কারাগারের পৃথক কক্ষে রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।
আসিফ