
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউরোপ রুশ জ্বালানি তেল কেনা কমিয়ে দেয়, ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিষিদ্ধ তেলের শীর্ষ ক্রেতায় পরিণত হয় ভারত ও চীন। পশ্চিমা চাপ সত্ত্বেও এই বাণিজ্য রুশ অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখে।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু জ্বালানিতে সীমাবদ্ধ নয়, ২০১৮ সালে ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে দিল্লি, যার সরবরাহ জটিলতার কারণে শেষ হবে ২০২৬ সালের শেষ দিকে। এসব কারণে ভারত পশ্চিমাদের নজরে পড়ে।
সর্বশেষ, রুশ তেল কেনার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০%। এতে মোদি-ট্রাম্প সম্পর্কের উষ্ণতা দ্রুত শীতল হচ্ছে।
এই উত্তেজনার মাঝেই মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ক্রেমলিন বৈঠকের বিস্তারিত জানায়নি, তবে ভারত জানিয়েছে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দোভাল নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে ভারত সফরে আসছেন পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
নয়া দিল্লি অভিযোগ করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়া থেকে বিপুল পণ্য আমদানি করছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বরং কেবল ভারতকেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, রুশ পণ্য আমদানির শীর্ষে থাকা চীনের ওপরও উচ্চ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
Jahan