ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

হারবার ব্রীজে মানুষের ঢল, ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল করে ইতিহাস গড়লো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ৪ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৬:১৪, ৪ আগস্ট ২০২৫

হারবার ব্রীজে মানুষের ঢল, ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল করে ইতিহাস গড়লো অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

বৃষ্টি আর শীতল হাওয়ার তোয়াক্কা না করেই লাখো মানুষের ঢল নেমেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। রবিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহাসিক হারবার ব্রিজে গাজার পক্ষে অনুষ্ঠিত হলো অন্যতম বৃহত্তম জনসমাবেশ। মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান, হাতে ব্যানার আর পোস্টারে ভর করে গর্জে উঠেছে প্রতিবাদী জনতা, ইসরাইলের প্রতি ঝরেছে তীব্র ক্ষোভ।

বিক্ষোভ আয়োজকরা দাবি করেছেন, সমাবেশে অংশ নিয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ, যদিও স্থানীয় পুলিশের অনুমান অনুযায়ী সংখ্যাটি ছিল এক লাখের কিছু বেশি। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দেশটির একাধিক সিনেটর এবং বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মীরা।

সমাবেশ থেকে জানানো হয়— “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অন্যায় এখন চলছে গাজায়। শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। তারা পুরো বিশ্বের কাছ থেকে ন্যায্যতা চায়, কিন্তু পাচ্ছে না। আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি।”

এক কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের হারবার ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিজের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তজুড়ে ধ্বনিত হতে থাকে—“ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!”।

সমাবেশে অংশ নেওয়া এক অসুস্থ নাগরিক জানান— “আমি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ, চলাফেরা করতে পারি না ঠিকমতো। কিন্তু এখানে আমার চিকিৎসার সুযোগ আছে। ফিলিস্তিনের মানুষদের সেই সুযোগ নেই। তাদের হাসপাতালেও বোমা ফেলা হচ্ছে।”

বিক্ষোভকারীরা বলেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুধু হত্যাযজ্ঞ নয়, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষও তৈরি করছে। এর বিরুদ্ধে তারা জোরালো মানবিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ দাবি করেন।

সমাবেশ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে উঠে আসে দীর্ঘদিনের একটি দাবি—ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান।

এই শান্তিপূর্ণ অথচ প্রবল প্রতিবাদ বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিল, ফিলিস্তিন শুধু মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যু নয়—এটি একটি বৈশ্বিক নৈতিকতার লড়াই।


শেখ ফরিদ 

×