
ছবি: সংগৃহীত।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর চালানো অব্যাহত গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান।
শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “ফিলিস্তিনিদের একদিকে অভুক্ত রেখে মরতে বাধ্য করা হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের হত্যা করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির তৈরি সবচেয়ে উন্নত ও প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় খাদ্য বিতরণের কেন্দ্রগুলোর সামনে অপেক্ষমাণ মানুষদের গুলি করে হত্যা করছে। চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটের কারণে আহত ও অসুস্থরা চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে। মার্চ মাস থেকে চলমান অবরোধের কারণে গাজার ভিতরে কোনোভাবেই ওষুধ পৌঁছাচ্ছে না।”
বাঘাই বলেন, “খাদ্যের লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের জন্য যেন তা মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। রোগীরা খাবার ও ওষুধ ছাড়াই মারা যাচ্ছে। আর এর সবই ঘটছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলের সন্ত্রাসবাদী বিমান হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের পটভূমিতে, যেখানে দুই লাখেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে এবং গাজার ৯০ শতাংশ অঞ্চল বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শূন্য বিবৃতি নয়, বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ইরানি মুখপাত্র স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “গাজাবাসীদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে, দখলদার ইসরায়েলি শাসনের উপর অবিলম্বে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে এবং যারা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের আন্তর্জাতিক আদালতের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত একাধিক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ফলে চরম মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো একাধিকবার সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানালেও পরিস্থিতির কোনও বাস্তব পরিবর্তন ঘটেনি বলে অভিযোগ উঠছে।
সূত্র: ইরনা।
মিরাজ খান