ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিবে কম্বোডিয়া

প্রকাশিত: ২০:৩২, ১ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৪, ১ আগস্ট ২০২৫

যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিবে কম্বোডিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে কম্বোডিয়া। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথল শুক্রবার এ ঘোষণা দেন।

কম্বোডিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রেশ নিউজ-এ প্রকাশিত এক বক্তব্যে সান চানথল বলেন, “কম্বোডিয়ার নাগরিক হিসেবে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে, যিনি সত্যিকার অর্থেই ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করছি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হোক।”

চানথলের মতে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতের অবসান হাজার হাজার প্রাণ রক্ষা করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঁচদিন ধরে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা ও রকেট নিক্ষেপে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়। অবশেষে ২৮ জুলাই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

এর আগের সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আয়োজিত শান্তি বৈঠকে সীমান্ত হামলা বন্ধে একমত হয় দুই দেশ। এই শান্তিচুক্তির পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের, যিনি সংঘাতের শুরুতেই থাই ও কম্বোডিয়ান প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং যুদ্ধ বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেন।

পরবর্তীতে তিনি আবারও দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেন এবং যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য তাদের অভিনন্দন জানান।

শুক্রবার দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিকরা সীমান্তবর্তী বিতর্কিত এলাকায় সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে যান, যেখানে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করা হয়। এছাড়া দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসবেন সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে আলোচনার জন্য।

এর আগে জুন মাসে পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দেয়। মে মাসে পাকিস্তান ও প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময়ের পর ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। পরে জুলাই মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বারবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতার কৌশলে আলোচিত হচ্ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে তার ভূমিকায় প্রশংসা করে কম্বোডিয়া যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা এই বিতর্কিত নেতাকে আবারও নোবেল শান্তি পুরস্কার আলোচনায় নিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ও নোবেল কমিটির সিদ্ধান্ত এই মনোনয়ন কতটা বাস্তবায়নের পথে এগোয়, তা নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়াবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে।

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/ytjcu3xp

আফরোজা

×