
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির গর্জন ক্রমশই জোড়ালো হচ্ছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ঐতিহাসিক ঘোষণার পর সেই দাবি পশ্চিমাদের রীতিমতো চাপে ফেলেছে। বিশেষ করে জি সেভেন দেশগুলোকে। এর মধ্যে ব্রিটেন সবচেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ চাপে রয়েছে। চাইলেও ফিলিস্তিনকে নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না ব্রিটেন সরকার।
মূলত ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকায় বিষয়টি নিয়ে এগোতে পারছেন না ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তবে গাজা উপত্যকায় চলা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ লাঘবে এবার আর চুপ থাকবেন না স্টারমার। গাজায় চলা মানবিক সংকট অবসানে সরাসরি ট্রাম্পকে চাপ দেবেন তিনি।
স্কটল্যান্ডের টার্ন বেরিতে ট্রাম্পের গল্ফ রিসোর্টে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিয়ার স্টারমার। বৈঠকটি এমন এক সময় হচ্ছে যখন ইউরোপীয় দেশগুলো গাজায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্যোগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন স্টারমার, যাতে তিনি ফ্রান্সের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে এগিয়ে যান।
ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চাপ দেবেন স্টারমার। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন কাতার ও মিশরের মতো অংশীদারদের সঙ্গে মিলে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি আনতে যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটিকে স্বাগত জানাবে ব্রিটেন।
সেইসাথে গাজায় জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি, অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও দুর্ভিক্ষের অবসানে আলোচনা হবে দুই নেতার মধ্যে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে আটক জিম্মিদের মুক্ত করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে ট্রাম্প-স্টারমার বৈঠকে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে ফ্রান্স। এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় ম্যাক্রো ঘোষণা দেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স।
তবে “ফিলিস্তিন এখন রাষ্ট্র হয়ে ওঠার মতো পরিস্থিতিতে নেই” জানিয়ে ম্যাক্রোর সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ম্যাক্রোর ঐতিহাসিক ঘোষণার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি ব্রিটেন থেকেও। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ম্যাক্রোর পথে হাঁটতে আইন প্রণেতারা বেশ চাপে রেখেছে।
এছাড়াও গাজা ইস্যুতে দ্রুতই শান্তি প্রচেষ্টার যে প্রতিশ্রুতি ফ্রান্সকে দিয়েছিলেন স্টারমার, সেটিও তাকে আলাদাভাবে ভাবিয়ে তুলছে।
শেখ ফরিদ