
ছবি:সংগৃহীত
দক্ষিণ সিরিয়ার দ্রুজ অধ্যুষিত শহর সুয়েদা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষের খবর পাওয়া না গেলেও, বেশ কিছু অঞ্চলে এখনো চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সশস্ত্র বাহিনীগুলো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
গত কয়েকদিন ধরে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুজ, বেদুইন মিলিশিয়া ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অঞ্চলটি। শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী সংখ্যালঘুদের রক্ষার নামে ইসরাইলও সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা সিরিয়ার পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তোলে।
বৃহস্পতিবার সিরিয়া সরকার সুয়েদা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করে, তবে বেদুইন মিলিশিয়ারা এখনো বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে।
এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটি সিরিয়ার চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সকল পক্ষকে পিছিয়ে এসে একটি অর্থবহ সংলাপে অংশ নিতে হবে, যা ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরাইল সিরিয়ায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা স্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করেছি—দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে গোলান মালভূমি এবং দ্রুজ অধ্যুষিত পর্বত অঞ্চল পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত রাখতে হবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য আমাদের দ্রুজ ভাইদের রক্ষা করা। তাদের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাযজ্ঞ মেনে নেওয়া হবে না।”
সিরিয়া বিষয়ক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা (SOHR) জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০০ জনের বেশি প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এই সময়ে ইসরাইলের পদক্ষেপ দেশটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করছে।
মারিয়া