
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির লিওনিয়া শহরের পুলিশ প্রধান স্কট ট্যামাগনির বিরুদ্ধে তার মেয়ে কোর্টনি ট্যামাগনি যে অভিযোগ এনেছেন, তা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাবার হাতে তিনি ও তার বোনেরা নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ২০ বছর বয়সী কোর্টনি।
লিওনিয়া পুলিশপ্রধান স্কট ট্যামাগনি ও তার প্রতিবেশী কেভিন স্লেভিনের বিরুদ্ধে কোর্টনি মামলা দায়ের করেছেন। কোর্টনির ভাষ্যমতে, তারা কেবল যৌন নির্যাতনই করেননি, বরং একটি ‘সাতানিক কাল্ট’-এর অংশ হিসেবে ritualistic abuse চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমার বাবার বংশ পরম্পরায় এই কাল্টের অংশ থাকার ইতিহাস রয়েছে। তাদের একাধিক প্রতিবেশীও এর সাথে জড়িত।”
এই গোপন গোষ্ঠী গোপন টানেল ব্যবহার করে বনের মধ্যে শিশুদের নিয়ে যেতো। সেখানেই চলত ড্রাম বাজিয়ে শিশুদের রক্ত নেওয়া, পশু ও মানুষ পুড়িয়ে ফেলা, ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখার মতো ভয়ানক কর্মকাণ্ড।
২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত, মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে শুরু করে ১৫ বছর পর্যন্ত তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তাকে ও তার বোনদের ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করা হতো। এরপর বাবা ও তার সহযোগীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। মা জেনে ফেলার ভয়ে বাবার পক্ষ থেকে হত্যার হুমকিও ছিল।
‘We’re All Insane’ নামের এক পডকাস্টে তিনি এই লোমহর্ষক তথ্যগুলো জনসম্মুখে আনেন। বলেন, “এটা শুধু নির্যাতন ছিল না, বরং এক ধরণের রিচ্যুয়াল টর্চার ছিল, যাতে চিরতরে চুপ করিয়ে দেওয়া যায়।”
২০২২ সালে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পুরনো ট্রমা মনে পড়ে যায় কোর্টনির। এরপর তার থেরাপিস্ট একটি সরকারি অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর থেকেই তিনি এবং তার মা সোশ্যাল মিডিয়া, পডকাস্ট ও Change.org পিটিশনের মাধ্যমে ট্যামাগনির বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছেন।
স্কট ট্যামাগনি ও কেভিন স্লেভিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্লেভিন বরং ‘স্ল্যান্ডার কেস’ (মানহানির মামলা) করে কোর্টনির বিরুদ্ধে পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মুমু ২