ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনায় ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১২ জুলাই ২০২৫

নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনায় ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট চলমান গাজা যুদ্ধ এবং হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওলমার্ট বলেন, “হামাস এখন আর কোনো কার্যকর সামরিক হুমকি নয়। ইসরায়েল তাদের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করে দিয়েছে।”

বর্তমানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, আলোচনা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অগ্রসর অবস্থায় আছে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় হামাস ১০ জন ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি দেবে এবং বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। সেই সময়ের মধ্যে স্থায়ী শান্তিচুক্তির প্রচেষ্টা চলবে।

ওলমার্ট বলেছেন, “হামাস তাদের হাতে থাকা সব বন্দি মুক্তি দেবে না যতক্ষণ না নিশ্চিত হয় যে যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলও যুদ্ধ থামাবে না যতক্ষণ না হামাস গাজার ক্ষমতা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারিত হয়।”

তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকেও ইঙ্গিত করেন। ওলমার্টের ভাষায়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশাল প্রভাব রয়েছে নেতানিয়াহুর ওপর। তিনি চাইলে নেতানিয়াহুকে বাধ্য করতে পারেন যুদ্ধ বন্ধ করে চুক্তি করতে। এই ক্ষমতা তার আগেই ব্যবহার করা উচিত ছিল।”

ওলমার্টের দাবি, “বেশিরভাগ ইসরায়েলিই এখন যুদ্ধ শেষ চায়। তারা বন্দিদের মুক্তি চায়। নেতানিয়াহু বর্তমানে একটি পুরনো নির্বাচনের মাধ্যমে টিকে থাকা সরকার চালাচ্ছেন যা জনগণের বর্তমান মনোভাবের প্রতিফলন নয়।”

তিনি বলেন, “৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অসংখ্য শিশু এই যুদ্ধের ভয়াবহ মূল্য দিয়েছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বরং এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বাকি বন্দিদের মুক্ত করা।”

ট্রাম্প গাজাকে “মধ্যপ্রাচ্যের ফরাসি রিভেরিয়া” বানানোর কথা বললেও ওলমার্ট পরিষ্কার বলেন, “আমি গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের পক্ষে নই। গাজা ফিলিস্তিনিদের ভূমি, তাদের সেখানেই বসবাস করার অধিকার আছে।”

তিনি মনে করেন, ভবিষ্যতে যেন গাজায় কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন ক্ষমতায় না আসে, সেটিই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।

ওলমার্ট বলেন, “ইসরায়েল থেকে এখন সহানুভূতি, আপস এবং শান্তির কণ্ঠস্বর উঠছে। নেতানিয়াহু সে কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধি নন। তাকে যেতে হবে—and আমি আশা করি তিনি শিগগিরই যাবেন।”

মুমু ২

×