
গাজার উত্তরের জাবালিয়া আন-নাজলা অঞ্চলের হালিমাহ আল-সাদিয়াহ স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ রাতভর হামলার সাক্ষ্য দিয়েছেন বেঁচে ফেরা কিছু মানুষ।
আল জাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খলিলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবু হাইসাম খাল্লা বলেন, “আমি দেখি চারপাশ ধুলায় ভরে গেছে – তখনই বুঝলাম, বোমা এই জায়গাতেই পড়েছে।”
তিনি বলেন, “আতঙ্ক, ভয় আর চিৎকারে পুরো স্কুল কেঁপে উঠছিল। এখানে প্রায় ১,০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন – কেউ তাঁবুতে, কেউ বা শ্রেণিকক্ষে।”
“এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা অনেক।”
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ খাল্লা বলেন, “একটি শ্রেণিকক্ষে ঢুকে দেখি মৃতদেহ পড়ে আছে। শিশুরা ছিন্নভিন্ন, পোড়া দেহ। এমন নারীরা মারা গেছেন যারা কিছুই করেননি।
“দৃশ্যগুলো এতটাই বিভীষিকাময় ছিল যে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি এক ছোট্ট মেয়েকে দেখেছি যার মাথাই ছিল না – সত্যি, পুরো মাথাটাই উধাও।”
এ হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Jahan