
ছবি:সংগৃহীত
ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে বিমানবাহিনীর দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়ার পর আকাশপথে সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হয়েছে ইরান। এই প্রেক্ষাপটে চীনের কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির জে-১০সি (J-10C) ফাইটার জেট কেনার পরিকল্পনা করছে তেহরান।
বিশ্লেষকদের মতে, সামরিক নীতিগত কারণে এবং রাশিয়া থেকে প্রতিশ্রুত যুদ্ধবিমান সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় বেইজিংয়ের প্রতি ঝুঁকছে ইরান। সূত্র জানিয়েছে, চীন থেকে প্রাথমিকভাবে ৪০টি জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে দেশটি। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরান এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এর আগে, ইরান রাশিয়া থেকে ২৪টি সুখোই-৩৫ (Su-35) যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করলেও, সেগুলো এখনো ইরানের হাতে পৌঁছায়নি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার কারণে চীনা প্রযুক্তির উপর আস্থা রাখতে বাধ্য হচ্ছে ইরান। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা মিত্র দেশগুলোকে চেংদু জে-১০ সরবরাহে প্রস্তুত রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়েছে। সে কারণেই জে-১০সি-এর মতো আধুনিক ফাইটার জেট যুক্ত করে বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের পথে এগোচ্ছে দেশটি।
এদিকে, চীন-ইরান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তারা বলছে, চীন চাইলে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ইরানকে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত রাখতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রাখতে চীনকেই একমাত্র কার্যকর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর আগে চীন থেকে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রও সংগ্রহ করেছে ইরান, যা দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/AYBcJcS33GE?si=a6WWWb_-ssGHoed1
মারিয়া