
ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘদিনের বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে এক নতুন উত্তপ্ত মোড়ে নিয়ে গেছে। হামলার পর ৮৭ ঘণ্টাব্যাপী সীমান্তে তুমুল সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশ। যদিও পরিস্থিতি এখন কিছুটা প্রশমিত, তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ তৈরিতে সক্রিয় হচ্ছে ভারত।
এ লক্ষ্যে বিশ্বের ৩৩টি দেশে বিশেষ কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। মূল লক্ষ্য: পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা দেশ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ৭টি প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছে, যাতে অংশ নিচ্ছেন কংগ্রেস, বিজেপি, জেডিইউ, এনসিপি, শিবসেনা ও ডিএমকের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যরা।
এই প্রতিনিধি দলগুলো আসন্ন রবিবারের মধ্যেই তাদের নির্ধারিত দেশগুলোতে পৌঁছে যাবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী সোমবার (২০ মে) এই প্রতিনিধিদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সদস্যসহ বিশ্বের ৩৩টি প্রভাবশালী দেশকে এই প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রথম দলটি ২১ মে জাপান সফরে রওনা দেবে। এই দলে থাকছেন জেডিইউ’র সঞ্জয় কুমার ঝা ও বিজেপির অপরাজিতা সারঙ্গী। সফরের পরবর্তী গন্তব্য: ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর।
অপরাজিতা সারঙ্গী বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বার্তা যাবে যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে।”
ভারতের এই কূটনৈতিক প্রচারণা সম্প্রতি পরিচালিত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পরপরই শুরু হলো। ওই অভিযানে ভারতের দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
এদিকে, পাকিস্তান বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, যেখানে আগামী ১৭ মাস দেশটি এ পদে থাকবে। ভারতের এই কূটনৈতিক চাপের ফলে পাকিস্তানের অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নুসরাত