ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হিংসার আগুনে পুড়ছে মোদি, ভারতের গচ্চা ৭২ হাজার কোটি রুপি!

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ১৯ মে ২০২৫

হিংসার আগুনে পুড়ছে মোদি, ভারতের গচ্চা ৭২ হাজার কোটি রুপি!

ছবি: প্রতীকী

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সাম্প্রতিক চীন সফর ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক মঞ্চে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোড়ন। সফরের প্রথম দিনেই বেইজিংয়ে দাঁড়িয়ে ড. ইউনুস জানিয়েছিলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলীয় সেভেন সিস্টারস অঞ্চলগুলো স্থল বিষ্টিত। আর এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে। চীনের জন্য বাংলাদেশ যে একটি অপরিহার্য প্রবেশদ্বার তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন তিনি।

এই বক্তব্যের রেশ ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় কূটনৈতিক অঙ্গনে। দিল্লিতে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনুস কার্যত ভারতকে কূটনৈতিকভাবে চাপে ফেলেছেন।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বন্দরে দাঁড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই বন্দরের সাথে যুক্ত হলে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল লাভবান হবে। তখন তা ভারতের কাছে কেবল মন্তব্য নয় বরং একটি স্পষ্ট ভূ-কৌশলগত চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।

তবে এই মন্তব্যকে দিল্লি দেখছে ‘ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে। কারণ ভারতের ‘সেভেন সিস্টারস’ অঞ্চলের একমাত্র কার্যকর সমুদ্রপথ হচ্ছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচকরা জানাচ্ছেন, ড. ইউনুসের বক্তব্যের পরেই মোদি সরকার ৫০ হাজার কোটি রুপি বাড়িয়েছে প্রতিরক্ষা বাজেট। বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থান ঘিরে জেদ ধরে খরচ হচ্ছে আরও ২২ হাজার কোটি রুপি।

এই ৭২ হাজার কোটি রুপির অতিরিক্ত খরচে গড়ে তোলা হচ্ছে একাধিক প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিতশিলং-শিলচর চার লেন হাইওয়ে করিডোর, যা বাস্তবায়ন করছে NHIDCL। আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এটি চালু হবে।

বর্তমানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ বা ‘চিকেন নেক’-এর মাধ্যমে। একে ভারতের সবচেয়ে বড় ভৌগোলিক দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই ঝুঁকি ঠেকাতে ভারত সরকার মিয়ানমার হয়ে বিকল্প রুট গড়ে তুলছে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্ট-এর মাধ্যমে। কলকাতা থেকে মিয়ানমারের সিত্তে বন্দর, সেখান থেকে নদীপথ হয়ে পালেতোয়া এবং এরপর জরিনপুই পর্যন্ত সড়কপথএই রুটে যুক্ত হবে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরামসহ সেভেন সিস্টারস অঞ্চল।

যদিও ভারত বিকল্প রুট নির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে বড় প্রশ্ন হলোমিয়ানমার নিজেই এখন রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে। ফলে এই রুট কতোটা নিরাপদ ও স্থায়ী হবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=muafTGQ-byw

রাকিব

আরো পড়ুন  

×