
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচিত যুদ্ধ পরিস্থিতির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আপাতভাবে শান্তি ফিরে এলেও, পাকিস্তান এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতিকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মির নিয়ে “সমন্বিত” সংলাপ চায়। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ বা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির (পিওকে) ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হবে না। যদিও এটা কেবল শুরু, পরিস্থিতির আরও পরিণতি রয়েছে।
এর মধ্যেই উদ্বেগজনক একটি ঘটনা ঘটেছে, যা অনেকেই খেয়াল করেনি। আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা (AQIS) সম্প্রতি ইংরেজি ও উর্দুতে ঘোষণা দিয়েছে যে, ভারতের 'ভগবাবাদী' শাসনের বিরুদ্ধে ‘পবিত্র যুদ্ধ’ চালানো এখন মুসলমানদের ধর্মীয় দায়িত্ব, কারণ তারা পাকিস্তানে মসজিদ ও বসতিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। এই আহ্বান যথেষ্ট চিন্তার বিষয়, কারণ দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর এই জঙ্গিগোষ্ঠী আবার পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় হচ্ছে।
আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (AQIS) ২০১৪ সালে তৎকালীন আল-কায়েদা প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরির নির্দেশে গঠিত হয়। এর প্রথম লক্ষ্য ছিল আমেরিকা ও পাকিস্তানি বাহিনীর উপর হামলা। তবে ২০১৯ সালে আসিম উমর মার্কিন অভিযানে নিহত হওয়ার পর, সংগঠনটি হঠাৎ ভারতকে টার্গেট করে এবং পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে যায়। তারা “নাওয়া-গজওয়াতুল-হিন্দ” নামে একটি ম্যাগাজিনও চালু করে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘের স্যাংশনস কমিটি জানায়, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (TTP) ও AQIS একসঙ্গে ক্যাম্প ও প্রশিক্ষণ ভাগাভাগি করছে এবং “তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান” নামে যৌথ হামলা চালাচ্ছে। তালেবানও এই চক্রে সহায়তা করছে।
গত মাসে পেহেলগাম হামলার পর জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাকিস্তানের চাপে লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT), জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) বা টেররিস্ট রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-এর উল্লেখ নেই। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ থেকে স্পষ্ট, জাতিসংঘের প্রতিবেদন সদস্য রাষ্ট্রের (যেমন পাকিস্তান) প্রভাবাধীন, যা সব সময় নিরপেক্ষ নয়।
সূত্র: https://www.ndtv.com/opinion/after-op-sindoor-a-curious-shapeshifting-threat-by-al-qaeda-india-8429362#pfrom=home-ndtv_opinion
এএইচএ