
ছবি: সংগৃহীত
মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস আগামী ২০ বছরের মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই দানের মাধ্যমে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দারিদ্র্য বিমোচনে $২০০ বিলিয়ন (প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা) ব্যয় করবেন। ফাউন্ডেশনটি ২০৪৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, এরপর এটি বন্ধ হয়ে যাবে ।
বিল গেটস তাঁর ব্লগ পোস্টে উল্লেখ করেন যে, “এতগুলো জরুরি সমস্যা সমাধানের জন্য আমি যে সম্পদ ধারণ করছি, তা মানুষের কাজে লাগানো উচিত।” তিনি বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব সমাজে ফিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ফাউন্ডেশনটি এখন পর্যন্ত $১০০ বিলিয়ন দান করেছে এবং আগামী ২০ বছরে আরও $২০০ বিলিয়ন ব্যয় করবে। এই অর্থের মাধ্যমে গেটসের প্রধান লক্ষ্য হলো:
-
মায়েদের ও শিশুদের অকাল মৃত্যু রোধ করা
-
ম্যালেরিয়া, পোলিও ও মিজলসের মতো সংক্রামক রোগ নির্মূল করা
-
বিশ্বের শত শত কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা
গেটস সতর্ক করেছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের বিদেশী সাহায্য কমানোর কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট নয় যে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলো তাদের দরিদ্র জনগণের পক্ষে দাঁড়াবে কি না।” তিনি মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, “এলন মাস্কের নেতৃত্বে USAID-এর বাজেট ৮০ শতাংশ কমানো হয়েছে, যা বিপজ্জনক।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা যদি দরিদ্র শিশুদের হত্যা করেন, তাহলে তা অশোভন।”
বিল গেটস অন্যান্য ধনী ব্যক্তিদেরও তাঁর মতো দ্রুত ও বৃহৎ পরিসরে দান করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি আশা করি অন্য ধনী ব্যক্তিরা ভাববেন, তারা যদি আরও দ্রুত ও বড় পরিসরে দান করেন, তাহলে বিশ্বের দরিদ্রদের জন্য কতটা অগ্রগতি সম্ভব।”
গেটসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক সাহায্য কমানোর বর্তমান প্রবণতা এই প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
এসইউ