
অ্যাপল ওয়াচ!
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রে। অফিস শেষে সন্ধ্যায় নির্জন পার্কিং লটে হাঁটার সময় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান টেইলর। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাপল ওয়াচের ‘ফল ডিটেকশন’ সুবিধা শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ইমারজেন্সি এসওএস’-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি সেবা নম্বর কল করে এবং ব্যবহারকারীর অবস্থান জানিয়ে দেয়।
পরে তারা এসে দ্রুত তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, টেইলরের ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হার্টে অক্সিজেনের সরবরাহ একেবারে কমে গিয়েছিল। দ্রুত চিকিৎসা না পেলে তিনি হয়তো মারাও যেতেন।
সুস্থ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে টেইলর লেখেন, গাড়ির পেছনে পৌঁছানোর আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি, আমি রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছি, আর আমার অ্যাপল ওয়াচ কাঁপছে এবং এসওএস সংকেত পাঠাচ্ছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট নাইনটুফাইভম্যাক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টেইলর কয়েকদিন ধরেই সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, এটি হয়তো সাধারণ ঠান্ডা অথবা কোভিডের হালকা উপসর্গ। কিন্তু একদিন অফিস শেষে নির্জন পার্কিং লটে গাড়ির দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ মাথা ঘুরে তিনি পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান।
এর আগে অ্যাপল ওয়াচে থাকা অ্যাকসিলারোমিটার ও জাইরোস্কোপ সেন্সর ব্যবহারকারীর চলাচলের ধরন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আর তাই ব্যবহারকারী হঠাৎ পড়ে গেলে ঘড়িটি অ্যালার্ম বাজিয়ে আশপাশের মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি পর্দায় সতর্কবার্তা দেখায়। ব্যবহারকারী এক মিনিটের মধ্যে সাড়া না দিলে ঘড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি সেবায় কল করে এবং জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর অবস্থান জানিয়ে দেয়। -ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে।