ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত

উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ 

প্রকাশিত: ২২:০৭, ৭ অক্টোবর ২০২৪

উত্তরাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ 

মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ এলাকায় এক নারী তার শিশু সন্তানকে আদর করছেন

গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। সোমবার এই আদেশ জারি করা হয়। আইডিএফ মুখপাত্র আভিচায় আদরায়ে বলেছেন- গাজার বেইত হানোউন, জাবালিয়া ও বেইত লাহিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গাজা স্ট্রিপে ভূমধ্যসাগর উপকূলে সরু উপত্যকা আল-মাওয়াসিতে নতুন মানবিক এলাকা তৈরি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা ছেড়ে সেখানে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
আইডিএফ এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, সালাহ আল-দ্বীন সড়ক দিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা (স্থানীয় সময়)। এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, জাবালিয়া ক্যাম্পের পশ্চিমে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে খুব কাছাকাছি অবস্থান থেকে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত আছে তারা। সংঘর্ষের এলাকা আল-মাওয়াসি থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ এক বছর ধরে ইসরাইলি বর্বরতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে নারী ও শিশুরা। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসার অভাবের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় ভুগছেন লাখো নারী ও শিশু। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজাবাসীর জীবনে যে কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তার অবসান হয়নি এখনো। বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে আছে গাজার আকাশ। এক বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার।

তবে যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তাদের দুর্ভোগের যেন কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে নারী এবং শিশুদের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলটি। এরই মধ্যে শিশুদের জন্য গাজা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় প্রায় ৫০ হাজার নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এদের মধ্যে ১৫ শতাংশ নারী বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম। ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হ্যারি জনসন বলেন, গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীরা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন। যা এই অবস্থায় স্বাভাবিক। তবে চিকিৎসা নেয়া না হলে সন্তান জন্মদানে এই সমস্যাগুলো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া অপরিষ্কার পরিবেশে বসবাস, অপর্যাপ্ত খাবার এবং মানসিক চাপও অঞ্চলটির সন্তানসম্ভাবা নারীদের স্বাস্থ্যগত জটিলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। 

×