ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মাতৃভাষা দিবস পালিত।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কনস্যুলেট ভবনে ও নিউইয়র্ক কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির সহযোগিতায় কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেটর ও অ্যাসেম্বলি মেম্বার, বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশি কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য চিত্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অমর একুশের কালজয়ী গানের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।

কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, জ্যামাইকাতে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার বক্তব্যে ৫২’র মহান ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ সব শহীদের স্মৃতির প্রতি ও  ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক এক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল এবং তিনিই প্রথম বারের মতো জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সাধুবাদ জানিয়ে বহুভাষা ও বহু সংস্কৃতিবাদকে আরও প্রসারিত ও বিকশিত করার ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট ডেনিস এম ওয়ালকট এবং ভারত, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, পেরু ও থাইল্যান্ডের কনসাল জেনারেলসহ অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড কনস্যুলেটের কূটনীতিকরা। দিবসটি উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কের কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিসার্ডস ও ফিলিপাইনের কনসাল জেনারেল ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন। পরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যা দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

উল্লেখ্য, কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও তিনি  সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় ফোরাম আয়োজিত কুইন্স প্যালেসে অস্থায়ী শহিদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

এম হাসান

×