ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

কারাবাখ থেকে পালাচ্ছে জাতিগত আর্মেনীয়রা

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কারাবাখ থেকে পালাচ্ছে  জাতিগত আর্মেনীয়রা

নাগরনো-কারাবাখের এক জাতিগত আর্মেনীয় নারী তার সন্তান নিয়ে সোমবার আজারবাইজানের গোরিস শহরে রেডক্রসের শরণার্থী নিবন্ধন কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন

আজারবাইজান সামরিক আক্রমণ চালিয়ে বিচ্ছিন্ন নাগরনো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর অঞ্চলটি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন শত শত জাতিগত আর্মেনিয়ান।বিভিন্ন ধরনের শঙ্কারকারণে আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে থাকতে অনিচ্ছুক এসব আর্মেনিয়ান চলে যাচ্ছেন আর্মেনিয়ায়। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজান নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কয়েকদিন পর শত শত জাতিগত আর্মেনিয়ান সেখান থেকে আর্মেনিয়ায় পালিয়েছেন। আর্মেনিয়ান সরকার রবিবার রাতে বলেছে, নাগরনো-কারাবাখ থেকে মোট এক হাজার ৫০ জন লোক দেশে প্রবেশ করেছে। আর্মেনিয়া বলেছে, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় থেকে সংঘাতময় এই অঞ্চলে গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সামরিক বিজয়ের পরে তারা তাদের (জাতিগত আর্মেনিয়ান) গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান রবিবার বলেছেন, দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের প্রায় এক লাখ বিশ হাজার বেসামরিক নাগরিক আর্মেনিয়া চলে আসবেন বলে তিনি আশা করছেন। কারণ তারা আজারবাইজানের অংশে থাকতে চায় না এবংজাতিগত নিধনযজ্ঞেরভয়ে শঙ্কিত।

তিনি বলেন, ‘নাগরনো-কারাবাখের আর্মেনীয়রা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে চলে আসাকেই একমাত্র উপায় হিসেবে দেখবে এবং সেই সম্ভাবনাই বাড়ছে।রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সি অনুসারে, পাশিনিয়ান আরও বলেছেন- আর্মেনিয়ানাগরনো-কারাবাখ থেকে আমাদের ভাই বোনদের স্নেহের সঙ্গে স্বাগত জানাব আর্মেনিয়ান এই নেতা মস্কোর সঙ্গে বিভেদেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) তার দেশকে রক্ষা করার জন্যযথেষ্ট ছিল না

যদিও সিএসটিও চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সদস্যরা বাইরের আক্রমণ থেকে একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করে থাকে। তারপরও ইউক্রেনের যুদ্ধে জর্জরিত রাশিয়া আর্মেনিয়ার সহায়তায় এগিয়ে আসতে অস্বীকার করেছে।