
ছবি: সংগৃহীত।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রাশিয়ায় সফরে গেছেন। এই সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকের পর তারা দুজনেই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে যে কোনো বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। মস্কোর ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে দেখা হয় বেইজিংকে। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে আসছে যে, চীন রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। যদিও বেইজিং শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আরও পড়ুন :এনআইডি সেবা সাময়িক বন্ধ
রাশিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, ওয়াংয়ের এই সফরের পর খুব শিগগির হয়তো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও চীন সফরে যাবেন।
এর আগে রাশিয়ায় সফর করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এই সফরে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। যদিও পুতিন এবং কিমের বৈঠককে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। কিমের এই সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৌশলগত নিরাপত্তা পরামর্শের জন্য রাশিয়ায় চার দিনের সফর করবেন ওয়াং ই। সোমবার ওয়াং ই এবং ল্যাভরভের বৈঠকের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা দুজন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাশিয়ার স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক এবং উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে রাশিয়াকে সহায়তা দিয়ে আসছে চীন। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে বেইজিং।
সূত্র: বিবিসি
টিএস