
পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে লে হাভরে শহরে ধর্মঘটী বর্জ্য সংগ্রহকারীরা আবর্জনা জমা করে সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে
ফ্রান্সে পেনশন পাওয়ার বয়সসীমা বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাজধানী প্যারিসে হওয়া প্রতিবাদ কর্মসূচিতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সরকারের এই পেনশন পরিকল্পনা নিয়ে বাড়তে থাকা অস্থিরতার মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে একের পর এক ধর্মঘট দেখেছে ফ্রান্স, এর প্রতিবাদে প্যারিসের রাস্তায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে পয়োবর্জ্যরে স্তূপ, যা ২০১৮ সালের তথাকথিত ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলনের পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। Ñখবর এএফপির।
রয়টার্স টেলিভিশনের ফুটেজে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে দেশটির জাতীয় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে প্যারিসে প্লেইস দে লা কনকর্ডে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ সময় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো দাঙ্গা পুলিশের সামনে যুদ্ধংদেহী ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু আন্দোলনকারীকে ‘ম্যাক্রোঁ, ক্ষমতা ছাড়ো’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
পেনশন সংস্কার বিলটিকে পার্লামেন্টের ভোটাভুটি ছাড়াই পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। তার এ সিদ্ধান্তের পর বৃহস্পতিবার রাতেও প্যারিসজুড়ে অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। সরকারের সংস্কার পরিকল্পনায় ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেনশন পাওয়ার বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পেনশন ব্যবস্থাপনাকে ধসে পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে এই সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মত সরকারের। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এবং বেশিরভাগ ভোটারেরই এতে দ্বিমত আছে।