ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ফের যুদ্ধে নামতে পারে ইরান, প্রতিস্থাপন করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১৭:৪০, ২১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪২, ২১ জুলাই ২০২৫

ফের যুদ্ধে নামতে পারে ইরান, প্রতিস্থাপন করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো সময় আবারও যুদ্ধে জড়াতে পারে ইরান—এমন আভাস মিলছে চারিদিক থেকে। ভেঙে যেতে পারে ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংসে ব্যর্থ হয়ে নতুন ছক আঁকছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই পরিকল্পনা ইরানি গোয়েন্দাদের কাছে ফাঁস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

তাই নতুন আগ্রাসন মোকাবিলায় ইরান এখন প্রস্তুত। দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করেছে তারা।

ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা, এবার নতুন শক্তিতে প্রস্তুত ইরান
গত জুন মাসে সংঘাত চলাকালে ইসরায়েল ব্যাপকভাবে আধিপত্য দেখায় ইরানের আকাশে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানে দখলদার ইসরায়েল। তবে পাল্টা জবাব দেয় ইরানি বাহিনী। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ধারাবাহিকভাবে চালানো হয় মিসাইল ও ড্রোন হামলা।

যদিও ইসরায়েল নিজ দেশের ক্ষয়ক্ষতি গোপন রাখতে সচেষ্ট ছিল, তবে ইরান উল্টো পথেই হাঁটে। ক্ষয়ক্ষতির কথা অকপটে স্বীকার করে জানায়, দেশের কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে।

দেশীয় প্রযুক্তিতে পুনর্নির্মাণ, পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন
প্রেস টিভির খবরে বলা হয়, ইরান আগে থেকেই তাদের তৈরি দূরপাল্লার বাভার-৩৭৩ এবং রাশিয়ার এস-৩০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে আসছে। এসব ব্যবস্থার কিছু অংশ ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দ্রুত দেশীয় সম্পদ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

ইরানের সামরিক বাহিনীর নিয়মিত অপারেশন বিভাগের উপপ্রধান মাহমুদ মোসাবি জানিয়েছেন, "ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ছিল আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধ্বংস করা। কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, এটা গোপন করার মতো কিছু নয়। তবে পূর্বনির্ধারিত স্থানে সংরক্ষিত সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা আবার আকাশ প্রতিরক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি।"

তিনি আরও বলেন, "বিদ্যমান এবং নতুন প্রতিস্থাপিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে এখন আমরা দেশের আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়েছি। ফলে শত্রুদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।"

“ইরান যুদ্ধ চায় না, তবে জবাব দিতে দেরি করবে না”
মোসাবির ভাষ্য, ইসরায়েল একা যুদ্ধ করেনি—তাদের সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। আর ইরানের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে, যা যুদ্ধকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, “ইরান কখনো যুদ্ধ শুরু করতে চায় না। তবে আক্রমণ এলে এক মুহূর্তও দেরি করবে না জবাব দিতে। আমাদের সামরিক বাহিনী শত্রু দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।”

কঠোর হুঁশিয়ারি শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের
ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইসরায়েল যদি আবার আক্রমণ চালায়, তবে এবার এমন সামরিক শক্তির মুখোমুখি হবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি।”

 

শেখ ফরিদ

×