
সংগৃহীত
আমরা অনেক সময় এমন কিছু নিয়ে চিন্তায় থাকি যার কোনো সমাধান আমাদের হাতে নেই। এই ধরনের ভাবনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তখন শরীরের স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা যাকে বলে "ফাইট অর ফ্লাইট" সারাক্ষণ সক্রিয় থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় ক্রনিক স্ট্রেস বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ।
এই চাপ শুধু মনকে নয়, শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে তোলে। ফলে সহজেই শরীরে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধে। বিশেষ করে কর্টিসল নামের একটি স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে দেখা দিতে পারে:
- হজমের সমস্যা
- মাংসপেশি ও শরীরে ব্যথা
- ঘন ঘন মাথাব্যথা
- উচ্চ রক্তচাপ
- হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
শুধু শারীরিক নয়, মানসিক প্রভাবও ভয়াবহ হতে পারে। অনেক মানুষ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে আশ্রয় নেয় অতিরিক্ত খাওয়া, ধূমপান, বা নেশাদ্রব্যে—যা শরীরকে আরও ক্ষতি করে।
এই চাপের চক্র থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন মনে হলেও পুরোপুরি সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু সচেতন পদক্ষেপ:
- থেরাপি ও কাউন্সেলিং: পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নেওয়া
- মেডিটেশন ও শ্বাস ব্যায়াম: মনকে স্থির করতে সাহায্য করে
- রুটিন ঠিক করা: ঘুম, খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা ঠিক রাখা
- সোশ্যাল সাপোর্ট: কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলা, সংযোগ বাড়ানো
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়। এটি ধীরে ধীরে আমাদের শরীর ও মনের ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলে। তবে সময় থাকতেই ব্যবস্থা নিলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিজের যত্ন নিন, প্রয়োজনে সাহায্য নিন এই একটাই পথ সুস্থ থাকার।
হ্যাপী