ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক তিনটি সহজলভ্য ‘সুপারফুড’

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২২ জুন ২০২৫

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক তিনটি সহজলভ্য ‘সুপারফুড’

ছবি: প্রতীকী

বিশ্বজুড়ে রোগব্যাধির প্রকোপের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যেমন দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনি কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যান্সার চিকিৎসায় নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য তিনটি খাবার হচ্ছে ব্রকলি, ব্লুবেরি ও টমেটো।

ব্রকলি

সবজির তালিকায় খুব একটা আলোচিত না হলেও ব্রকলি দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান হিসেবে বিবেচিত। এতে থাকা সালফোরাফেন নামের এক ধরনের প্রাকৃতিক যৌগ ক্ষতিকর কোষ ধ্বংস করতে এবং দেহে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি দেহের প্রদাহ কমায়, যা দীর্ঘমেয়াদী অনেক রোগের মূল কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রকলি বেশি রান্না না করে হালকা ভাপে সিদ্ধ কিংবা অলিভ অয়েলে হালকা ভাজা অবস্থায় খাওয়াই সবচেয়ে উপকারী। এটি না পাওয়া গেলে ফুলকপিও বিকল্প হিসেবে কার্যকর হতে পারে, কারণ ফুলকপিও একই সবজি পরিবারভুক্ত এবং অনেকটাই একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে।

ব্লুবেরি

ছোট্ট এই নীলচে রঙের ফলটি নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর। এটি দেহের কোষকে ক্ষয় ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্লুবেরি খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং প্রদাহ কমে।

এটি সহজেই স্মুদি, ওটস কিংবা সালাদের সঙ্গে খাওয়া যায়, তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে কোনও অসুবিধা নেই।

টমেটো

টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধে আরেকটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। এতে থাকা লাইকোপিন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রস্টেট ও ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মজার ব্যাপার হলো, টমেটো রান্না করলে দেহে লাইকোপিন শোষণের ক্ষমতা আরও বাড়ে।

সুপ, বারবিকিউ, কিংবা ভাজিতে রান্না করা টমেটো কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও দারুণ কার্যকর।

অবশ্য শুধু খাদ্যাভ্যাসই ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে পারে না। তবে জীবনধারা ও খাদ্যতালিকা স্বাস্থ্যসম্মত হলে রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্রকলি, ব্লুবেরি ও টমেটোর মতো খাবারগুলো দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি উপকার মিলবে—বলা যায় এটি একপ্রকার প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা।

সতর্কতা: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোও ক্যান্সার প্রতিরোধে সমানভাবে জরুরি।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রাকিব

×